আপনার পকেটে থাকা টাকাই একজন মানুষকে ধনী বা দরিদ্র করে না, বরং তার অভ্যাস। যদি আপনি মনে করেন যে প্রতিদিন একই কাজ করে কয়েক বছরের মধ্যে আপনি ধনী হতে পারবেন, তাহলে আপনি ভুল। বাস্তবে, আপনার পকেটে থাকা টাকা নয়, বরং তার দৈনন্দিন অভ্যাসই নির্ধারণ করে যে একজন ব্যক্তি ধনী না দরিদ্র হবে।
অর্থ উপার্জন কেবল কঠোর পরিশ্রম এবং বিনিয়োগের বিষয় নয়; এমনকি কয়েকটি ছোট অভ্যাসও আপনার আর্থিক পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করতে পারে। আসুন পাঁচটি ছোট অভ্যাস অন্বেষণ করি যা আপনাকে ধনী হওয়ার এবং একজন সফল ব্যক্তি হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
নিয়মিত সঞ্চয়: প্রতি মাসে আপনার আয়ের একটি ছোট অংশ সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন, যেমন ১০ থেকে ২০ শতাংশ। এটি স্বয়ংক্রিয় করুন, যেমন একটি SIP (সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান) এর মাধ্যমে অথবা একটি সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে অটো-ডেবিট সেট আপ করুন। চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে সময়ের সাথে সাথে ছোট পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
একটি বাজেট তৈরি এবং মেনে চলা: একটি মাসিক বাজেট তৈরি করুন এবং আপনার চাহিদা এবং ইচ্ছা আলাদা করুন। ৫০-৩০-২০ নিয়মটি অনুসরণ করুন—প্রয়োজনের উপর ৫০ শতাংশ, চাহিদার উপর ৩০ শতাংশ এবং সঞ্চয় বা বিনিয়োগের উপর ২০ শতাংশ। এটি অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধ করে।
স্মার্ট বিনিয়োগের অভ্যাস: অর্থ কেবল সঞ্চয় করেই নয়, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করেও বৃদ্ধি পায়। মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক বা রিয়েল এস্টেটে ছোট বিনিয়োগ শুরু করুন। পরিমাণ কম হলেও নিয়মিত বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে চলুন: ছোট ছোট ব্যয়ের উপর নজর রাখুন, যেমন প্রতিদিন বাইরে খাওয়া বা অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা। এই ধরনের ব্যয় মাসের শেষের দিকে আপনার পকেট খালি করতে পারে।
ক্রমাগত শেখা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি: নতুন দক্ষতা শেখার বা বিদ্যমান দক্ষতা আপগ্রেড করার অভ্যাস করুন। অনলাইন কোর্স, কর্মশালা নিন, অথবা বই পড়ুন। উন্নত দক্ষতা আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।