ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ার কারণ কী জানেন? অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। ডায়াবিটিস পেসেন্টদের খাবার ব্যাপারে বেশি সতর্ক হতে হয়। আবার, অনেক সময় ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। কারণ কী জানেন? ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু, এমন কিছু ফল আছে, যা কোনও চিন্তা না করে ডায়াবিটিস রোগীরা নির্ভয়ে খেতে পারেন।
বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। শুধুমাত্র তাঁদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য। রোজকার খাওয়ার-দাওয়ার প্রভাব ফেলে সুগারের ওপর। তাই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই দরকার। সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়া ও মেডিসিন খাওয়া আবশ্যক।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কিছু ফল আছে যা ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। আসুন জেনে নিয় সেই ফলগুলি কী কী? যা ডায়াবিটিস রোগীদের খেলেও চিন্তা থাকবে না।
ড্রাগন ফল
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল হল ড্রাগন ফ্রুট। এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ড্রাগন ফ্রুটে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম। মাত্র ৮-৯ গ্রাম। তাই ড্রাগন ফল খাওয়া সুগার রোগীদের জন্য নিরাপদ।
পেঁপে
সব ফলের মধ্যে সেরা ফল হল পেঁপে। যে কোনও রোগে এটি খাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল সুগার রোগীদের জন্য খুবই উপকারি।
জামুন বা ব্ল্যাকবেরি
জামুন বা ব্ল্যাকবেরি ডায়াবিটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। এর ফল, পাতা, বীজ সবই কাজে লাগে। এর প্রত্যেকটি অংশই কার্যকরী। জামুন, ব্ল্যকবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বো-হাইড্রেড, যা বহুমূত্রের সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
আপেল
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ ফল আপেল। এর উপাদানগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অনায়াসে তাঁদের খাদ্যতালিকায় আপেল রাখতে পারেন।
কিউই
কম ক্যালোরিযুক্ত একটি পুষ্টিকর ফল হলো কিউই। এতে আছে প্রচুর ফাইবার। কিউই খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরতি থাকে।