বেশিরভাগ বাচ্চা ও টিনএজের ছেলেমেয়েরা কখনও না কখনও ব্রণর সমস্যার সম্মুখীন হয়। মূলত বয়ঃসন্ধির সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে যেকোনও বয়সেই ব্রণর সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি নানা রূপেও এটি দেখা দিতে পারে ত্বকে। ছোট্টদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি।
ছোটদের ব্রণ হওয়ার কারণ কী?
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলোতে মৃত কোষ ও তেল জমতে থাকলে ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলেও ব্রণ হতে পারে। মূলত কৈশোর বয়সের সময় এই সমস্যার সূত্রপাত হয়।
ছোটদের মনে কেমন প্রভাব পড়তে পারে?
ছোটরা প্রায়ই নিজেদের চেহারা সম্পর্কে সচেতন হয়। ব্রণর সমস্যা গুরুতর হলে তাদের সামাজিক মেলামেশা বা বন্ধুমহলেও যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। এছাড়াও অন্যদের কাছে হেয় হওয়ার ভয়ও তাড়া করে তাদের।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিছু ছোট ছোট নিয়ম মেনে চললে ব্রণর সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। এমন সাতটি নিয়মের কথা রইল এই প্রতিবেদনে।
১. মুখ ধোয়া কমানো: অনেকেই মনে করেন, ক্লিনজার বা মুখ ঘষে বারবার মুখ ধুলে ব্রণ কমে যেতে পারে। কিন্তু এতে ত্বকের জ্বালাভাব বাড়ে। ত্বকে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর বদলে দিনে দুবার অল্প গরম জল ও কম ক্ষতিকর ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুলেই যথেষ্ট।
২. ব্রণ খুঁটবেন না: ব্রণ খুঁটলে ত্বকে জ্বালাভাব ও কালো দাগ বাড়ে। একইসঙ্গে নতুন করে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
৩. জল খান: দিনে নিয়মিত তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া জরুরি। জল শরীরকে হাইড্রেটেড রেখে ব্রণ মোকাবিলায় সাহায্য করে।
৪. মোবাইল ফোন: মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া থাকে। দীর্ঘসময় ধরে ফোন ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে ত্বকে নানারকম দাগ ও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. দুধ কম খান: দুধ খেলে বাড়তে পারে ব্রণর সমস্যা। কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া এই সময় উপকারী।
৬. চটজলদি ও মশলাদার খাবার: এই ধরনের খাবারে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ তেল। এই ফ্যাট ত্বকের উপর জমতে থাকলে ব্রণর মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৭. মুখ ছোঁয়া: বারবার অপরিষ্কার হাতে মুখ ছোঁয়া ঠিক নয়। এতে হাত থেকে মুখে নানারকম ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ব্রণর সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক।
ব্রণর সমাধান
বয়স, লক্ষণ ও স্বাস্থ্যের উপর ছোটদের ব্রণর চিকিৎসা নির্ভর করে। নিয়মিত ডায়েটে পরিবর্তন আনলে ব্রণর সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। এর জন্য ডায়েটে কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার রাখা দরকার। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবারের পাশাপাশি ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে রাস্তার চটজলদি খাবার। এছাড়াও নিয়মিত সঠিক পরিমাণে জল ও সবুজ শাকসবজি খেলে ব্রণর সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়।