পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে দেশে মুক্তিযুদ্ধ, বিপ্লব আন্দোলনের কথা তো সকলেই জানে। কিন্তু ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা নাগাসাকি - তে যে পারমাণবিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তা হয়তো আজও সর্বকালের ইতিহাসে সবথেকে কলঙ্কিত একটি ঘটনা হয়ে রয়েছে।
কবে পালন করা হয় হিরোশিমা দিবস?
প্রতিবছর ৬ জুলাই পালন করা হয় হিরোশিমা দিবস। চলতি বছর এই দিনটি মঙ্গলবার পালন করা হবে।
হিরোশিমা দিবসের ইতিহাস
১৯৪৫ সালে ৬ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হিরোশিমা শহরে প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এই পারমাণবিক বোমায় ওই দেশের আনুমানিক ৩৯ শতাংশ জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল বেসামরিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত ম্যানহাটন প্রকল্প দ্বারা দুটি পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল যার মধ্যে প্রথমটির নাম ছিল দ্যা লিটল বয়।
(আরও পড়ুন: কোথায় হারিয়ে গেল ‘হাম আপকে হয় কৌন ’- এর টাফি? উত্তর কিন্তু বেশ মজাদার)
‘দ্যা লিটল বয়’, নামের পরমাণু বোমাটি ৬ আগস্ট হিরোশিমা শহরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। যে মুহূর্তে বোমাটি শহরের উপর নিক্ষেপ করা হয় ঠিক সেই মুহূর্তে আনুমানিক ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যান। এছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, আজও এই শহরে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়।
হিরোশিমা শহরের এই ঘটনাটি সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। বিজ্ঞান যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা বুঝে ছিল গোটা বিশ্ব। হিরোশিমা শহরের সেই কয়েক কোটি মানুষের যন্ত্রণার সাক্ষী হওয়ার জন্যই প্রতিবছর পালন করা হয় হিরোশিমা দিবস।
হিরোশিমা দিবসের তাৎপর্য
হিরোশিমা দিবস পালন করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, এই দিনটির কথা প্রত্যেককে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া। যুদ্ধ যে কখনও ভালো হতে পারে না, যুদ্ধের ফলে কীভাবে হাজার হাজার মানুষের ক্ষতি হয়ে যায়, সেই কথা স্মরণ করার জন্যই এই দিবসটি পালন করা।
(আরও পড়ুন: ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ সিনেমার এই ৭ তথ্য, যা জানেন না সালমানের অন্ধ ভক্তও)
হিরোশিমা দিবস পালন
প্রতিবছর হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এই দিনটি পালন করা হয়। ১৯৪৫ সালে এই স্থানেই বোমাটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই স্থানে একত্রিত হয়ে মৃতদের স্মরণ করার পাশাপাশি আগামী দিনে যাতে পরমাণু বোমার ব্যবহার না হয়, সেই অঙ্গীকার করার মাধ্যমেই এই দিনটি পালন করেন হিরোশিমা শহরের নাগরিকরা।