চলতি বছর দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। বলে গোটা বাংলা ভীষণই গর্বিত। কিন্তু যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁরা? আলবাত! তাঁরাও গর্বিত, আর তাই তো এবারের পুজোতে যেন আলাদা মাত্রা যোগ হয়েছে। বাদ যায়নি নাইরোবির দুর্গাপুজো।
নাইরোবিতে বঙ্গতনয়া অনন্যা পাল প্রতি বছরই তাঁর মতো করে দুর্গাপুজো পালন করেন সেখানে থাকা সমস্ত ভারতীয়দের নিয়ে। এখানে মূলত সাংস্কৃতিক শারদীয়া দুর্গোৎসব পালন করে থাকা হয়। এবার যেহেতু ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে দুর্গাপুজো তাই এবারের পুজো একটু আলাদা।
অনন্যা পালের দল এবার আয়োজন করেছে একটি নৃত্যনাট্যের, নাম দ্যা ইথরাল সাগা। এটি কবি জয়দেব এবং পদ্মাবতীর প্রেমকাহিনি এবং গীতগোবিন্দ রচনার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে। মুথাইগা কান্ট্রি ক্লাবে এই অনুষ্ঠানটি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মঞ্চস্থ হবে। দর্শকাশনে থাকবেন আন্তর্জাতিক স্তরের দর্শকরা। এই অনুষ্ঠানে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁরা সকলেই বিভিন্ন জাতির মানুষ। গোটা নৃত্যনাট্যটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন অনন্যা পাল, সুরকার এবং গায়ক আশিষ চক্রবর্তী। শ্রেষ্ঠাংশে কৃষ্ণ কিসলে এবং সুষমা রেড্ডি। ভাষ্যপাঠ করবেন জেমস মুহিয়া এবং জননী রাজসেক্রন। জেমস হলেন কেনিয়ার বাসিন্দা এবং জননী শ্রীলঙ্কার।
এই অনুষ্ঠান ছাড়াও আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন অনন্যা, তার নাম দ্যা ডিভাইন অ্যারাইভাল। এটি একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান যা মহালয়ার দিন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে দেখানো হবে।
অনন্যা কিছুদিন আগেই ভারতে এসেছিলেন তাঁর তৈরি পুষ্পকেতু গোয়েন্দা চরিত্রের অবয়ব আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করতে। রোহন ভট্টাচার্যকে এই চরিত্রের জন্য ভাবা হয়েছে। তিনি বীরভূমের বহুরূপী শিল্পীদের নিয়েও কাজ করেছেন। মনসাকথা নামক কাজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের কথা তুলে ধরেছেন। নিজের ভাষা, সংস্কৃতির উপর টান থেকেই তিনি এই ধরনের কাজ একটার পর একটা করে চলেছেন। তিনি এই বিষয়ে বলেন, নাইরোবিতে তিনি তাঁর নিজের সংস্কৃতি উদযাপন করতে পেরে ভীষণই আনন্দিত। তার মধ্যে দুর্গাপুজো এবার ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ায় আরও গর্ববোধ করছেন। যদিও তিনি বিদেশে থাকেন তবুও তিনি দেশের মাটির সেই টান অনুভব করেন।