অতিরিক্ত টাকা রোজগারের জন্য মানুষকে কত কিছুই না করতে হয়। তার মধ্যে হয়তো দু’ধরনের কাজের মধ্যে কোনও মিলই থাকে না। কিন্তু তা বলে পার্থক্য যে এই জায়গায় পৌঁছোতে পারে, তাও বোধহয় ভাবেননি কেউ। হালে এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। দিনে তিনি বিচারক। আর রাতে? মানে, যাকে বলে দ্বিতীয় পেশায় তিনি পর্নস্টার।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে আমেরিকার গ্রেগরি লকের নাম। গ্রেগরি পেশাগত ভাবে একজন বিচারক। নিউ ইয়র্ক শহরে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত মামলার শুনানির কাজ করেন তিনি। নিজের কাজ নিয়ে তিনি নাকি বেশ গর্বিতও। কিন্তু এর পাশাপাশি রাতে তিনি চালান অন্য পেশা। জানা গিয়েছে, একটি প্রাপ্ত বয়স্কদের ওয়েবসাইটে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি সেখানে ক্যামেরার সামনে নগ্ন হন। শুধু তাই নয়, সেখানে সঙ্গমেও লিপ্ত হন। এছাড়া আরও অনেক কিছুই করেন, যা নাকি কোনও ভাবেই অভিপ্রেত নয়। আর সেই কারণেই চিন্তায় পড়েছে নিউ ইয়র্ক শহর পরিচালনার কর্তৃপক্ষ। তাঁরা মনে করছেন, এতে ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে শহরের বিচারব্যবস্থার।
(আর পড়ুন: সন্তানের সংখ্যা ৫৫০! অজান্তে ভাই-বোনের হয়ে যেতে পারে বিয়ে, তাই শাস্তির মুখে বাবা)
আপাতত গ্রেগরিকে তাঁর বিচারকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও যে ওয়েবসাইটে তিনি রাতে কাজ করেন, সেই ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে তিনি রীতিমতো মোটা টাকা রোজগার করেন। এর পাশাপাশি তাঁর নিজের আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ রয়েছে। সেটি থেকেও নাকি মোটা অঙ্কের রোজগার হয় তাঁর।
সব মিলিয়ে গ্রেগরি দু’টি পেশা থেকে ভালোই রোজগার করেন। তার চেয়েও বড় কথা, তাঁর নিজের দ্বিতীয় পেশাটির কথা যে তিনি গোপন করেছেন এমনও নয়। বরং ফলাও করে সে সব কথা বলেছেনও। তাতেই কিছুটা চিন্তায় পড়েছিলেন শহর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

এই সেই গ্রেগরি
তাঁদের কারও কারও মত, আদালত ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, বা তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে সাধারণ মানুষের এই ব্যবস্থার উপর আস্থা থাকে। কিন্তু গ্রেগরির অন্য পেশার কারণে সে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আর সেই কারণেই তাঁকে তাঁর বিচারকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup