দেশ থেকে বিদেশ। ঘরের দৈনন্দিন রান্না থেকে রেস্তোরাঁর চটকদারি খাবার। সবেতেই প্রয়োজন পেঁয়াজের। যেকোন ধরণের রান্নার একটা জরুরি উপকরণ হল পেঁয়াজ। ফলে যা আমাদের জিভে এমন তৃপ্তি জোগায়, সেই পেঁয়াজের যে আরও গুণাগুণ রয়েছে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের স্বাস্থ্যকে সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পাড়ে একটুকরো পেঁয়াজ।
১) বছরের এই ঋতু বদলের সময়গুলোতে সর্দিকাশি, জ্বর প্রায় প্রতিটি ঘরে। এই অবস্থায় আপনি যদি সামান্য মধুর সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে খান তবে দ্রুত এই রোগের থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
২) দীর্ঘ দুই বছরের লকডাউনের পর ছোটো থেকে বড়ো, সকলেরই ঘুমের সময় খানিক ওলটপালট হয়েছে। যার ফলে ইনসমনিয়ার মতো অনিদ্রার রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন, দিনের যেকোন সময় একটি করে কাঁচা পেঁয়াজ খান তবে সে সমস্যা আপনার সহজেই দূর হবে।
৩) একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, গোটা পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৩৭.৩ মিলিয়ান মানুষ ডায়বিটিসে আক্রান্ত। যতদিন যাচ্ছে তত বিস্তৃত হচ্ছে এই রোগের জাল। তবে এই রোগেরও ঔষুধ হতে পারে এক টুকরো পেঁয়াজ। প্রতিদিন একটা করে পেঁয়াজ খেলে ডায়বিটিসের আশঙ্কা সামান্য কমে যায়। কারণ গবেষণা আমাদের একথাও জানায় যে পেঁয়াজ আমাদের শরীরে ইনসুলিন হরমনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সমীক্ষা থেকে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সেখানে প্রতিদিন একটা করে পেঁয়াজ খেলে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমে যায়। এছাড়াও, আর্থারাইটিসের রোগীদের জন্যেও পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ।
৫) পেঁয়াজে ভিটামিন ই থাকায়, পেঁয়াজের রস বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। ছোটো থেকে বড়ো সকলের ক্ষেত্রেই কান এবং চোখের যেকোন সমস্যা দূর করতে পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ।
৬) যারা রূপ চর্চা করতে পছন্দ করেন তাঁদের জেনে রাখা প্রয়োজন, পেঁয়াজ চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ই, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই পেঁয়াজ আপনার চুলকে পুষ্টি জোগায় এবং আরও সুন্দর করে তোলে। সাথে মসৃণ করবে আপনার ত্বককেও। মুখে ফোঁড়া বা যেকোনরকম দাগ দূর করতে সাহায্য করে এই পেঁয়াজের রস।