সামনেই বাংলা নববর্ষ। এদিনটায় আবার পিৎজা, বার্গার, মোমো খাওয়া বাঙালিও খাঁটি বাঙালি খাবার খোঁজে। তবে একঘেয়ে মাছের কালিয়া, মাংসের কষা না খেয়ে একটু আলাদা কিছু ট্রাই করে দেখতেই পারেন। মাংস আর কাঁচা আমের কম্বিনেশন একেবারে জমে যাবে! যাকে বলে চেটেপুটে খাবেন!
আম মটন বানানোর পদ্ধতি:
কী কী লাগবে
মটন (বড় টুকরো ১ কিলো), আলু মাঝখান থেকে টুকরো করা (৪টি-৮ টুকরো), কাঁচা আম লম্বা করে কাটা (২টি), পেঁয়াজ কুচনো (২টি), রসুনবাটা (২ টেবিল চামচ), আদাবাটা (১ টেবিল চামচ), কাঁচালঙ্কা (৩-৪টি), হলুদ গুঁড়ো (১ চা চামচ), গোটা জিরে (৩/৪ চা চামচ), মেথি (১/২ চা চামচ), শুকনো লঙ্কা (৩-৪টি), জল (৪০০ মিলি), নুন (স্বাদমতো), চিনি (১ চিমটে), সরষের তেল (১ টেবিল চামচ)
মাংস ম্যারিনেশনের জন্য: আদা-রসুন বাটা (২ টেবিল চামচ), কাঁচালঙ্কা বাটা (২ টেবিল চামচ), নুন (স্বাদমতো)
কীভাবে বানাবেন
মাংস ধুয়ে ম্যারিনেশনের সমস্ত উপকরণ দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এবার পরেরদিন বের করে রুম টেম্পারেচারে নিয়ে আসুন রান্না করার আগে।
আলুতে সামান্য নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। এবার শুকনো তাওয়ায় গোটা জিরে আর মেথি দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করুন। তারপর ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। ৫-৬ মিনিট বাদে হলুদ গুঁড়ো দিন, কুচনো পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা। তারপর ভালো করে কষাতে থাকুন। এই অবস্থায় আমরা কোনও তেল ব্যবহার করছি না রান্নায়।
মাংস থেকে জল বেরনো অবধি আঁচ মাঝারি রাখুন। তারপপর জল টেনে এনে আঁচ বাড়িয়ে নাড়ুন যতক্ষণ না মশলা আলাদা হচ্ছে। এবার তেল আর চিনি দিন।
এবার গ্যাস বন্ধ করে নিন। প্রেসার কুকারে মটন ঢেলে নিয়ে তাতে আলো, আমের টুকরো, শুকনো লঙ্কা দিন। যে কড়াইতে কষিয়েছেন ওটায় জল ঢেলে নিয়ে তা প্রেসার কুকারে দিন। পরিমাণমতো নুন দিন দরকার থাকলে।
৬-৭টি সিটি দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন আম মটন।