বয়স বাহান্ন এদিকে নাকের উপর ব্রণ! একটু অবাক হয়েছিলেন মিচেল ডেভিস। এত বয়সে হঠাৎ ব্রণ হল কেন? তখনও তিনি কি আর জানতেন, ওই ব্রণ আসলে এক মারণরোগের আভাস। প্রথম প্রথম মিচেল ভেবেছিলেন এটি সেরে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। কনসিলার দিয়ে ব্রণ ঢেকে তবেই বাইরে যেতেন তিনি। বেশ কয়েক মাসেও ব্রণ কমছে না দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। তখনই ব্রণ টিপে ফাটিয়ে ফেলতে যান। আর পাঁচ জনের মতো সে কাজ করতেই গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। গত এপ্রিলের এমন ঘটনা ঘটার পর চিকিৎসকের কাছে যেতে বাধ্য হন ডেভিস। আর তারপরেই জানতে পারেন মারণরোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে।
আরও পড়ুন: সব ঠিক থাকতেও সন্তানধারণে সমস্যা? এই রোগগুলি চোখে পড়ছে না বলেই হয়তো
আরও পড়ুন: এক হাঁচিতেই মরতে বসেছিলেন যুবক, কী করে বেঁচে ফিরলেন? মিরাকল বললেও কম বলা হয়
ডেভিসের কথায় এই ব্রণ ফাটানোর সময় ত্বকের নিচ যেন আগুনের মতো জ্বলে উঠেছিল। ব্রণ ফাটানোর পর অনবরত রক্ত বেরোতে থাকে গলগল করে। এরপরেই চিকিৎসককে দেখাতে জানা যায় ওই ব্রণ আসলে ত্বকের ক্যানসার। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় বেসাল সেল কার্সিনোমা। সাধারণত শরীরের যে অঙ্গগুলি রোদে বেশি থাকে, সেখানেই এই ক্যানসার দেখা দেয়। ক্যানসার ধরা পরার পর আর দেরি করেননি মিচেল। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে একটি অস্ত্রোপচার করিয়ে নেন। নাকের উপর থাকা ওই ব্রণ
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে বাদ দেওয়া হয়। বেশ অনেকটাই জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল ক্যানসার। ফলে নাকের কিছু অংশেও অস্ত্রোপচার করতে হয়। নাসাল ফ্ল্যাপ সার্জারির সময় নাকটিকে জিগজ্যাগ ভঙ্গিতে কাটেন চিকিৎসকরা। সে কথাই সংবাদমাধ্যমকে জানান মিচেল। তাঁর কথায়, ওই ফাঁক ভরাতে নাকের অন্য অংশ থেকে মাংস এনে বসানো হয়। এতে অবশ্য নাসাপথ কিছুটা ছোট বড় হয়ে গিয়েছে। তবে সে নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন মিচেল। তাঁর কথায়, নাকটা যে পুরো কেটে বাদ দিতে হয়নি, তাতেই বেশ খুশি তিনি। শুধু তাই নয়, ঠিক সময়ে রোগটি ধরা পড়ায় বড় বিপদও এড়ানো গিয়েছে বলে মন বেশ খুশি মিচেলের। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত পরীক্ষার মধ্যে থাকতে হবে তাঁকে। কারণ একবার ক্যানসার হলে আবার ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup