একটি বয়সের পর প্রায়ই ব্রণর সমস্যায় ভোগেন অনেকে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ব্রণর সমস্যা অনেক বেশি। মুখে ব্রণর বাড়বাড়ন্তের কারণে সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয়, তেমন মুখে ব্যথাও বেড়ে যায়। তবে এই সমস্যা কমাতে নানারকম টোটকার খোঁজও চলতে থাকে। বাজারের প্রসাধনী দ্রব্য থেকে ঘরোয়া টোটকা, অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়। তবে সমস্যা ঘোচে না। আসলে রোজকার জীবনের কিছু ভুলের কারণেই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হল ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি ও ময়লা। এছাড়াও শোয়ার দোষেও বাড়তে থাকে ব্রণর সমস্যা।
বালিশের ময়লা কভার: আমরা নিয়মিত জামাকাপড় কাচি। তবে অনেকেই বালিশের কভার নিয়ম করে কাচেন না। এতে নানারকম ময়লা জমে থাকে যা ঘুমোনোর সময় মুখে লেগে যায়।কারণ কভারে জমা ময়লা থেকে ব্যাকটেরিয়াও জন্ম নেয়। এই ব্যাকটেরিয়া আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। এর ফলেই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণর সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের ওয়ার পরিবর্তন করুন।
মেকআপ করে ঘুমানো: প্রায়ই অনেকে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত থাকায় মেকআপ ঠিকমতো ধুয়ে শোন না। এই অবস্থায় ঘুমোলে ত্বকের বারোটা বেজে যায়। মেকআপ সারা রাত ত্বকের স্বাভাবিক ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে রাখে। এর থেকেই ব্রণের সমস্যা বাড়ে। তাই মেকআপ তুলেই সবসময় ঘুমোতে যাওয়া ভালো।
উপুড় হয়ে শোওয়া: অনেকেরই বিছানায় উপুড় হয়ে শোওয়ার অভ্যেস থাকে। এই ভঙ্গিতে ঘুমোলে ত্বকের সঙ্গে বালিশের ঘষা লাগে। এর ফলে ত্বকের জ্বালাভাব বেড়ে যায়।ত্বকের প্রদাহ বাড়লে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
রাতভর চুলে তেল লাগিয়ে রাখা: তেল মালিশ করা চুল ও স্ক্যাল্পের জন্য দারুণ উপকারী। তবেসারা রাত চুলে তেল লাগিয়ে না রাখাই ভালো। এতে মুখে ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের কখনই চুলে তেল দিয়ে ঘুমোনো উচিত নয়।
মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার না করা: সারা দিন ধরে ত্বকে বাইরের ধুলোময়লা জমে থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ফেস ওয়াশ বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা খুব জরুরি। ত্বকে ফেস ওয়াশ লাগানোর আগে সবসময় হাত ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup