শিশুদের সুস্থ বিকাশের জন্য তাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় বিকাশের দিকে সমান মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরি। যদিও শিশুরা শিশুই থাকে, তবে বাড়িতে তৈরি বেশিরভাগ জিনিস দেখে তারা সিংহ দেখে এমনভাবে পালিয়ে যায়। সে শুধু বাজারের চৌ মে, বার্গার, পিৎজা, মোমোর মতো জিনিস পছন্দ করে; আপনি ভালো করেই জানেন এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। এ কারণে বেশিরভাগ শিশুই রোগা-পাতলা হয়ে যায় এবং অভিভাবকরা তাদের খাদ্যাভাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি আপনার সন্তানের সুস্থ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে চলুন আজকে এমন কিছু খাবারের কথা বলি, যেগুলো খেলে শিশু শুধু তাড়াতাড়ি সুস্থই হবে না, তার মনকেও শাণিত করবে।
রবিবার হোক বা সোমবার, প্রতিদিন ডিম খান
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিডের পাশাপাশি আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন একটি বা দুটি ডিম খাওয়ানো শিশুদের সুস্থ বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। ডিম শুধু শিশুকে সুস্থ ও ফিট করে না, এতে পাওয়া ফলিক অ্যাসিড শিশুকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।
আপনার খাদ্যতালিকায় দুধ অন্তর্ভুক্ত করুন
শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য তাদের খাদ্য তালিকায় দুধ অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা হাড়কে মজবুত করে। এর ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ দ্রুত হয়। শিশুরা প্রায়ই দুধ পান করার সময় ক্ষুব্ধতা দেখায়, তবে আপনি তাদের বিভিন্ন ধরণের স্বাদ যোগ করে দুধ পান করাতে পারেন।
প্রতিদিন একমুঠো শুকনো ফল দিন
বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুদের অল্প পরিমাণে শুকনো ফল খাওয়ানো খুবই উপকারী। বিশেষ করে বাদাম, আখরোট, কিশমিশ, কাজুবাদাম, মাখনের মতো শুকনো ফল শিশুদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তাত্ক্ষণিক শক্তির জন্য কলা দিন
বাড়ন্ত শিশুদের প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ালে খুব উপকার হয়। ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবার কলায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি খেলে শিশু তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। এর পাশাপাশি কলা খেলে শিশুদের শরীর সুস্থ থাকে। যেসব শিশু প্রতিদিন একটি করে কলা খায়, তাদের মানসিক বৃদ্ধিও দ্রুত হয়।
দেশি ঘি আপনাকে সুস্থ করে তুলবে
শিশুদের শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল রাখতে দেশি ঘিও তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঘি থেকে শিশুরা ভালো ফ্যাট ও ডিএইচএ পায়। নিয়মিত ঘি খেলে শিশুদের মস্তিষ্কও তীক্ষ্ণ হয়। এ ছাড়া ঘিতে পাওয়া অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহায়ক।