সর্দি, কাশি ,জ্বর, গলাব্যথা, এইগুলোকে একদমই হালকা ভাবে নেবেন না। উপসর্গগুলি সাধারন মনে হলেও এগুলি হতে পারে এইচ৩এন২ ভাইরাসের লক্ষণ। এর ফলে নাজেহাল হয়ে উঠেছে দিল্লি-সহ বেশ কিছু রাজ্যের জনগন। প্রাথমিক ভাবে এর উপসর্গগুলি হল কাশি, তার সঙ্গে জ্বর, ও হাঁচি।'ইনফ্লুয়েঞ্জা এ' ভাইরাসেরি সাবটাইপ এইচ৩এন২। চিকিৎসকদের দাবি এইচ৩এন২ করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর।
দীর্ঘদিন ধরে আছে কাশি। কোনও রকম ওষুধ কাজে আসছে না। তার সঙ্গে আসছে জ্বর। এইচ৩এন২ এর এই সব সাধারন উপসর্গ নিয়ে সচেতন করেছে আইসিএমআর। সবচেয়ে বেশি এর প্রভাব পড়েছে দিল্লিতে। দিল্লির মানুষেরা আগের মতোই মাস্ক পরা শুরু করেছে। এই ঘাতক ভাইরাস যেভাবে তার প্রভাব জমিয়েছে তাতে লম্বা লম্বা লাইন লক্ষ করা যাচ্ছে হাসপাতালের বাইরে। প্রচন্ড ঠান্ডা বা ঋতু পরিবর্তনও এই ফ্লু-র বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ।
কেমন এই এইচ৩এন২ ভাইরাস?
এটি 'ইনফ্লুয়েঞ্জা এ' ভাইরাসের একধরনের সাবটাইপ-- এমনটাই বলছেন আইসিএমআর নামের মেডিক্যাল সংস্থা। আইসিএমআর রিপোর্টে বলা হয়েছে গত দুই তিনমাস ধরেই এই ভাইরাস তাঁর প্রভাব দেখিয়ে চলেছে। আইসিএমআরের এপিডেমিলজির চিকিৎসকেরা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপের হার বেড়েছে। সঙ্গে শীত ও ঋতু পরিবর্তনের ফলে হওয়া লক্ষণগুলোও যুক্ত। যেহেতু এর লক্ষণগুলি করোনার মতোই তাই মানুষেরা সাধারণ জ্বর আর এই ভাইরাসের জ্বরের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছে না।
আইসিএমআর এর রিপোর্ট অনুযায়ী যাঁরা হসপিটালে এসেছে তাঁদের মধ্যে ৯২% জ্বর, ৮৬% কাশি, ২৭% শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হয়েছে। যাঁর মধ্যে ১৬% রোগীর নিউমোনিয়া ও ৬% খিঁচুনি ও কিছু কিছু জনের ডাইরিয়া, বমি বমি ভাবও রয়েছে। এই ভাইরাস বেশি আক্রমন করছে বৃদ্ধ এবং শিশুদের।চিকিৎসকদের মতে লক্ষণগুলি সাধারণত এক সপ্তাহ বা তার বেশি কিছু সময় ধরে থাকতে পারে। যদিও মৃত্যু হয়েছে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নজির এখনও সামনে আসেনি।
এই রোগ প্রতিরোধের উপায় কী?
এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল ভ্যাকসিন নেওয়া, বারবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। হাঁচি কাশি হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা। ভিড় এড়িয়ে চলা। জল এবং জলীয় আহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। যাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর সর্দি কাশির মতন উপসর্গ রয়েছে তাঁদের কাছ থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে চলা। তা ছাড়া নিজে থেকে কিনে ওষুধ খেয়ে ভুল করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।