গত ৯ আগস্ট আর জি করে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার বিচারের আশায় এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যবাসী। উকিল থেকে চিকিৎসক, রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষদের একসঙ্গে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে এই ঘটনা। স্থান কাল পাত্র আলাদা হলেও প্রতিবাদের ভাষা এবং দাবি একই।
সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলে রাস্তায় নামলেও কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা একেবারে অন্যরকম ভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। প্রতিদিনের কাজকে বজায় রেখেই এনারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অভিনব ভঙ্গিতে। কিছুদিন আগেই রায়গঞ্জের এক চিকিৎসককে দেখা গিয়েছিল প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম লেখার পাশাপাশি We Want justice স্ট্যাম্প দিতে। এবার এই প্রতিবাদে সামিল হলেন ক্লাউড কিচেনের কর্ণধার শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য।
(আরও পড়ুন: শাহরুখ থেকে শিল্পা, সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনায় মেতে উঠতে তৈরি বলিউড তারকারা!)
ব্যান্ডেলের নারায়নপুর কলোনির বাসিন্দা শুচিস্মিতা গত তিন বছর ধরে অনলাইনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করেন। নিজের বাড়িতেই সযত্নে খাবার তৈরি করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন তিনি। গত ৩ বছর ধরে অবিরাম পরিশ্রম করে আজ নিজের ব্যবসাকে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘ক্লাউড কিচেন’। তবে শহর এবং শহরতলিতে ২ ধরনের ক্লাউড কিচেন রয়েছে।
একদিকে যেমন Zomato ও Swiggy - এর মত সংস্থার অধীনে একাধিক নামী এবং অনামী সংস্থাগুলি নিজেদের রান্নার ব্যবসা দাঁড় করাচ্ছে, অনলাইনে খাবার ডেলিভারি করছে। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছেন যারা বাড়িতে খাবার তৈরি করে নিজেরাই বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এগুলিকে বলা হয় হোম ক্লাউড কিচেন।
(আরও পড়ুন: শুধু শুভেচ্ছা বার্তায় শিক্ষক দিবসের দিন পাঠান মহান ব্যক্তিত্বদের উক্তি)
এমন একটি হোম ক্লাউড কিচেন গত ৩ বছর ধরে সামলাচ্ছেন শুচিস্মিতা। আর জি করের ঘটনায় যেখানে গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাস্তায় নেমেছে,সেখানে নিজের ব্যবসার মাধ্যমেই প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পেলেন শুচিস্মিতা। যে সমস্ত গ্রাহককে শুচিস্মিতা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁদের দেওয়া বিলে লেখা থাকছে We Want justice। এ যেন এক অভিনব উদ্যোগ।
এই প্রসঙ্গে শুচিস্মিতা বলেন, ‘প্রতিবাদের ভাষা অনেক রকমই হয়। আমি যেহেতু এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাই আমি এইভাবে প্রতিবাদ করার রাস্তা বেছে নিয়েছি। আমার পক্ষে রাস্তায় নেমে সব সময় প্রতিবাদ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমার নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এই কাজ করা।’ এই ভাবেই প্রতিবাদের ভাষা সকলের সাথে ভাগ করে নিচ্ছেন ব্যান্ডেলের ছোট ব্যবসায়ী শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য।