ইউয়িং সারকোমা নামে বিরল এক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। এক ধরনের ক্যানসার হলেও এটি বেশ বিরল। পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় প্রতি মিলিয়নে মাত্র এক জন আক্রান্ত হন এই ধরনের ক্যানসারে। আর সেই কারণেই এটির চিকিৎসাও বেশ কঠিন।
২০১৫ সালের জন্মদিনের দিন ঐন্দ্রিলা প্রথম জানতে পেরেছিলেন, ক্যানসার বাসা বেঁধেছে শরীরে। তখন ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। তখনই ইউয়িং সারকোমায় আক্রান্ত হন তিনি। এটি অস্থিমজ্জার ক্যানসার। তখনই শুরু হয় কেমোথেরাপি। দিল্লির এমসে নিয়ে যাওয়া। সেখানেই চলে চিকিৎসা।
কেন এই ক্যানসার একেবারই গোড়াতেই চেনা গেলে ভালো?
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই ক্যানসার বেশি দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি মারাত্মক আকার নিতে পারে।
কীভাবে গোড়াতেই এই ক্যানসার চিহ্নিত করা যায়?
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যথা এবং তরল জমা প্রধান উপসর্গ। হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দেয় এতে। অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে :
- হঠাৎ জ্বর হওয়া।
- ক্লান্তি অনুভব করা।
- ত্বকের নীচে গুটি বা ফোলাভাব, বিশেষত বগলে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লিম্ফ নোড তৈরি হওয়া।
তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েকটি পরীক্ষা করাতে হয়।
- ইমেজিং বা প্রতিবিম্বকরণ।
- এমআরআই স্ক্যান।
- সিটি স্ক্যান।
- পজিট্রন এমিশন টোমোগ্রাফি (পিইটি) স্ক্যান।
- বোন ম্যারো: অ্যাসপিরেশন।
- বায়োপসি।
- রক্ত পরীক্ষা যেমন সি-রিয়েক্টিভ প্রোটিনের, লোহিত রক্তকণিকার কমার হার পরীক্ষা।
নিয়মমাফিক এই পরীক্ষাগুলি করালে এই ক্যানসার ধরা যায়।
কারও ক্ষেত্রে উপরের উপসর্গগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা।