হৃদরোগের সমস্যা অথবা ফুসফুস জনিত সমস্যা এখন ভীষণ সাধারণ একটি ব্যাপার হয়ে গেছে। যে কোনও বয়সী মানুষের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। তবে হার্টের সমস্যা হলেই আমরা সবার আগে দায়ী করি ধূমপানের অভ্যাসকে, যা সম্পূর্ণ ভুল।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, হার্ট অ্যাটাকের পেছনে সবথেকে বড় দায়ী হলো বায়ু দূষণ। এই গবেষণাটি প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর করা হয়। তবে মহামারীর কারণে ২০২১ সালের ডাটা প্রকাশিত হতে কিছুটা সময় লেগেছিল। ২০২১ সালের আগে ২০১৯ সালের গবেষণায় জানা গিয়েছিল, ৪.২ বিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর হারের পেছনে রয়েছে বায়ু দূষণের ভূমিকা।
(আরো পড়ুন: একটু দুঃখ পেলেই কেঁদে ফেলেন? শরীরে এর কেমন প্রভাব পড়ছে জানেন কি)
অনেকেই মনে করেন, বায়ু দূষণ হলে হাঁপানি, কাশির মত লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু বায়ু দূষণের ফলে ফুসফুসের কতটা ক্ষতি হতে পারে বা স্বাস্থ্যের কতটা অবনতি হতে পারে সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। বায়ু দূষণের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২০ বিলিয়নের বেশি মানুষ মারা যান। গত এক দশকে এই মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বায়ু দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তবে বায়ু দূষণ মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বের উন্নয়ন তহবিলের মাত্র ১% খরচ হয়, যা ভবিষ্যতে বাড়ানো না গেলে বায়ু দূষণের সঙ্গে মোকাবিলা করা যাবে না।
বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন দূষিত কণা ফুসফুসের টিসু গুলিকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে এবং দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ এবং ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। বলা ভালো, ধূমপানের ফলে যে সমস্যা মানুষের শরীরে তৈরি হয় তার থেকেও বেশি সমস্যা তৈরি হয় বায়ু দূষণের ফলে।
(আরো পড়ুন:বিশ্বের প্রথম মাথা প্রতিস্থাপন করল রোবট, যুগান্তকারী বিপ্লব হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে)
প্রসঙ্গত, মহামারির সময় লক ডাউন হওয়ার ফলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বায়ু হয়েছিল দূষণমুক্ত। দীর্ঘ কয়েক মাস লক ডাউন থাকার ফলে সারা বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের মাত্রা কমে গিয়েছিল কারণ যানবাহন চলাচল উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছিল। তবে লক ডাউনের পরে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বায়ু দূষণের পরিমাণ। ভারতবর্ষের মধ্যে দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতায় বায়ু দূষণের হার সবথেকে বেশি।