যেতে চাইছেন হায়দ্রাবাদ থেকে ব্যাঙ্গালোর। অথচ বিমান যদি কলকাতা পৌঁছে যায়, ভাবতে পারছেন কেমন হতে পারে ঘটনাটা। অথবা ধরা যাক, হায়দ্রাবাদ থেকে আসন সংরক্ষণ করলেও বিমান সংস্থা আপনাকে ব্যাঙ্গালোর থেকে বিমানে উঠতে অনুরোধ করলো। ব্যাপারটা অন্যদের জন্য হাস্যকর হলেও যিনি এই সমস্যায় পড়েন, তাকে বেশ বিব্রত হতে হয়। পাশাপাশি ভয়ও লাগে, আসন সংরক্ষণ করলে সম্পূর্ণ টাকাই বুঝি জলে যাবে।
এমন অবস্থাই হয়েছিল আদিত্য ভেঙ্কটেশ নামের একটি টুইটার ব্যবহারকারীর। আদিত্য পেশায় একজন ফটোগ্ৰাফার। কিছুদিন আগে কাজের সূত্রে তিনি হায়দ্রাবাদ থেকে ব্যাঙ্গালোর যাওয়ার টিকিট কাটছিলেন। এয়ার এশিয়ার একটি বিমানে আসন সংরক্ষণের পর এমন আজব ছবি ফুটে ওঠে। সেখানে দেখা যায় ফ্লাইটটি কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে, এক ঘন্টা ১০ মিনিট পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। এদিকে কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর ব্যাঙ্গালোরে আর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বিমানবন্দর কলকাতায়। ঘটনাচক্রে দেখা যায়, ছবিতে ব্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের ছোট কোড হিসেবে রয়েছে এইওয়াইডি যা আসলে হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরের কোড। অন্যদিকে কলকাতা বিমানবন্দরের কোড দেওয়া হয়েছে বিএলআর যা আদতে ব্যাঙ্গোলোরের। স্পষ্ট বোঝা যায়, পুরো ব্যাপারটা ঘেঁটে ঘ করেছে বিমান সংস্থা।
ছবিটি পোস্ট করে এয়ার এশিয়াকে উল্লেখ করে আদিত্য লেখেন পুরো ব্যাপারটাই ঘেঁটে যাচ্ছে। আমাকে কোথা থেকে বিমান ধরতে হবে? আর কোন বিমানবন্দরেই বা নিয়ে যাওয়া হবে?এয়ার এশিয়ার তরফে অবশ্য জানানো হয়, এটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে হয়েছে। দয়া করে আরেকবার বুকিং করুন।
আদিত্য জানান, তিনি নতুন করে চেষ্টা করলেও একই জিনিস দেখাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না দেখে তিনি বুকিং করেই ফেলেছেন।
এক টুইটার ব্যবহারকারী ঠাট্টা করে জানান, একটি আসনের দামে তিন জায়গায় ঘোরার সুবিধা দিচ্ছে। এমন সুবিধা আর কেউ দেবে না। বিমান সংস্থার উত্তরকে ব্যঙ্গ করে আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, ভাগ্যিস আপনাকে গন্তব্য পাল্টাতে বলেনি! আরেকজন জানান, প্রতি কথাতেই প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে সমাধান বাতলে দেওয়া সংস্থাটি বেশ ভালোই রপ্ত করে ফেলেছে।