ডিমনেশিয়ার সব থেকে পরিচিত ধরন হচ্ছে অ্যালজাইমার। বিভিন্ন ধরনের অ্যালজাইমার হয়, তবে অনেক সময়ই চিকিৎসকরা এই রোগ কিংবা তার ধরন শুরুতে ধরতে পারেন না। ৬৫ বছর বয়সী যাঁরা কিংবা তার বেশি তাঁদের মধ্যে ৫ শতাংশ মানুষই গুরুতর অ্যালজাইমার শিকার, আর ১০-১৫ শতাংশ মৃদু অ্যালজাইমার রোগের শিকার হয়ে থাকেন। যত বয়স্কদের জনসংখ্যা বাড়বে তত বেশি অ্যালজাইমার রোগীর সংখ্যা বাড়বে। যত তাড়াতাড়ি এই রোগ ধরা পড়বে তত ভাল চিকিৎসা সম্ভব হবে।
কী করে বুঝবেন আপনি এই রোগের শিকার কি না? দেখে নিন সহজ ৫টি উপায়।
১. ভুলভাল কিংবা অপ্রয়োজনীয় খরচ করলে, বা বিল জমাতে থাকলে আপনি অ্যালজাইমার রোগীর শিকার হতেও পারেন, এটা কিন্তু একটা লক্ষণ এই রোগের।
২. দোলাচলে ভোগেন? সব কিছুতেই কনফিউশন হয়? কী করবেন বুঝতে উঠতে পারেন না? তাহলে এটাও কিন্তু একটা লক্ষণ যে আপনি অ্যালজাইমার রোগী। সব থেকে বড় উদাহরণ হল, ধরা যাক আপনি কোনও বিষয়ে কথা বলছেন, কিন্তু মাঝে মাঝেই কথার খেই হারিয়ে ফেলছেন। যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত শেষ করেন একদম অন্য বিষয়ে। এটা কিন্তু অ্যালজাইমার রোগের একটি লক্ষণ।
৩. দিশেহারা লাগছে? কী হচ্ছে, কত সময় পেরোচ্ছে ভেবে উঠতে পারছেন না তাহলে সচেতন হন। আপনি অ্যালজাইমার রোগের শিকার হতে পারেন কিন্তু! সময়ের হিসেব রাখতে পারেন না এর ফলে অনেকেই। ৫ মিনিট সময়কে ৫ ঘণ্টা মনে হতে থাকে। ধরা যাক একদিন আগেই আপনি আপনার সন্তানের সঙ্গে কথা বলেছেন যে বিদেশে থাকে, অথচ আপনার মনে হবে এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কথা হচ্ছে না।
৪. উল্টোদিকের মানুষটা কী বলছেন ধরতে পারছেন না? অনেকে যখন কথা বলছে বা শব্দ হচ্ছে তার মধ্যে থেকে একজনের কথা ধরতে পারছেন না? তাহলে কিন্তু হতেই পারে আপনি অ্যালজাইমার রোগের শিকার। এই লক্ষণটাকে ককটেল পার্টি প্রবলেম বলা হয়ে থাকে।
৫. অ্যালজাইমার রোগের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে স্মৃতিভ্রম। সব ভুলে যাচ্ছেন ঘনঘন, চেয়েও মনে রাখতে পারছেন না গুরুত্বপূর্ণ জিনিস? তাহলে সচেতন হন।
এই লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে থাকলে, বা সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।