সপ্তাহের শেষে রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে কার না ভালো লাগে। এছাড়া কখনও কখনও হঠাৎ ছুটি পেলে অনেকেই ডিনার বা লাঞ্চ রেস্তোরাঁয় সারতে ভালোবাসেন। এক একটি রেস্তোরাঁ এক একরকম কুইজিনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। তাই খেতে যাওয়ার আগে তেমনভাবে রেস্তোরাঁও বেছে নিতে হয়। আবার এক এক রেস্তোরাঁর এক একরকম পরিবেশনের নিয়ম। পরিবেশনের কায়দাতেই মন ভুলিয়ে দেয় অনেক রেস্তোরাঁ। তবে অনেক রেস্তোরাঁর কায়দা দেখলে ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হয়। ভাবুন তো কেমন লাগবে, কোনও রেস্তোরাঁ যদি বলে আপনার মাছটা আপনিই ধরে নিন!
রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে টাটকা না বাসি খাবার খাচ্ছি, তা সবসময় বোঝা যায় না। মাছও তেমন ফ্রিজ থেকে বের করে রান্না করা হয়। কে না জানে টাটকা আর ফ্রিজের মাছের স্বাদে আকাশপাতাল তফাত। অনেকেই আবার টাটকা মাছ খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না। তাদের জন্যই এমন অভিনব ব্যবস্থা।
তবে হঠাৎ করে রেস্তোরাঁ মাছ ধরতে বললে আপনি ভ্যাবাচ্যাকা খেতে বাধ্য। ভাবতেই পারেন এ কেমন দাবি। কিন্তু এমন রেস্তোরাঁ সত্যিই রয়েছে। এ রেস্তোরাঁয় গেলে প্রিয় মাছটি আপনি অর্ডার দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পাবেন না। সে মাছ আপনাকেই ছিপ ফেলে ধরতে হবে। রেস্তোরাঁর মাঝখানে রয়েছে একটা বড় পুকুর। মেনুতে থাকা বিভিন্ন পদের মাছ সেই পুকুরে কিলবিল করছে। এরপর রেস্তোরাঁ থেকে আপনাকে একটি ছিপ ধরিয়ে দেওয়া হবে। নিজের পছন্দের মাছ এবার আপনাকেই জল থেকে তুলে নিতে হবে। জ্যান্ত মাছটি তোলার পর আপনার সঙ্গে রেস্তোরার কর্তৃপক্ষ একটি সেলফি নেবে । এবার সেই মাছই রান্না করে আপনাকে গরম গরম পরিবেশন করা হবে।
চমক লাগলেও জাপানের ওসাকা শহরে রয়েছে এমন একটি রেস্তোরাঁ। যার নাম জাউ ফিশিং।এই রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে মাছের পদ বেছে নেওয়ার আগে টাটকা না বাসি তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
এমন অভিনব পদ্ধতির জন্য অনেকেই এই রেস্তোরাঁয় খেতে যান। শুধু স্থানীয়রা নন, বাইরে থেকেও এখানে অনেকে খেতে আসেন। এছাড়া প্রায়ই লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। অভিনব উপায়ে খাবার পরিবেশনের কারণেই সারা বিশ্বে এই জাউ ফিশিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।