কোথাও যাওয়ার আগে, বিশেষ করে অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়ার আগে গ্যাস অম্বল হতে পারে ভেবে অনেকেই অ্যান্টাসিড খান। অনেকেই ভাবেন এই ওষুধ খুবই নিরাপদ। আসলে তা কিন্তু নয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি হতে পারে হাই-ব্লাড প্রেসার, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকী ক্যানসারও হতে পারে।
শরীর ভালো থাকে হজম ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তার ওপর। হজম ঠিক না হলে বমি বমি ভাব, মাথা, কাঁধে ব্যথা, এমনকী প্রস্রাবের সমস্যাও হয়। আর তখনই অনেকে খেয়ে ফেলেন অ্যান্টাসিড। তার ফল হয় ভয়ঙ্কর।
অ্যান্টাসিডের মধ্যে এমন যৌগ থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। এমনকী কিডনি ফেলও হতে পারে। এর মধ্যে থাকা প্রোটন পাম্প, ইনহিবিটর যৌগ গ্যাস্ট্রিক আলসারের অন্যতম কারণ। অ্যান্টাসিড অতিরিক্ত খেলে ক্ষয়ে যেতে পারে হাড় এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যার ঝুঁকিও হতে পারে। শুধু কিডনির সমস্যা নয়, অ্যাসপিরিন যুক্ত অ্যান্টাসিড ব্যবহারে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা, ডাইরিয়া এমনকী হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে যেতে পারে।
যে হজমের জন্য অ্যান্টাসিড খাচ্ছেন, সেই অ্যান্টাসিড অতিরিক্ত খেলে হজমে বাধা সৃষ্টি করে। চিকিৎসকেরা এই বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক
ভোপালের জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ রাজেশ শর্মা বলেছেন, 'মানুষের মধ্যে অ্যান্টাসিডের ব্যবহার খুবই সাধারণ বিষয়। অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে এই ওষুধ খান। কিন্তু তা একদমই উচিত নয়। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতে হবে'।
কার্ডিয়াক, ভাস্কুলার এবং থোরাসিক সার্জন ডাঃ শ্রীরাম বলেন, 'ভারতে প্রায় ৭% থেকে ৩০% মানুষ গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ নামে রোগে ভোগেন। এইসব রোগীরা অ্যান্টাসিড নেন। ফলে তাদের কিডনি খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে'।
অ্যান্টাসিড খাওয়া যেতেই পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোনও ধরনের অ্যান্টাসিড এক মাসের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
অ্যান্টাসিড খেলে সকালে খালি পেটে খেতে হবে বা খাবারের ১-২ ঘণ্টা আগে খেতে হবে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, ঘনঘন বদহজম হয় তারা অ্যান্টাসিড না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এ্যালোপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টাসিড দেওয়া হয়। তার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে।