সাধারণ সর্দি, কাশি বা জ্বর হলেই আমাদের অ্যান্টবায়োটিক খাওয়ার প্রবনতা আছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে কখন বলেন। যখন কেউ মেনিনজাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হন, তখনই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। সুতরাং, সামান্য কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি কী?
চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত। যে কোনও ব্যাকটিরিয়া জনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক খুবই কার্যকরী। কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসক্র বলে দেওয়া কোর্স সম্পূর্ণ করা উচিত। তা না করলে আবার শরীরে ওই ব্যাকটিরিয়াগুলি আবার আক্রমন করতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন, ডায়ারিয়া, বমিভাব, পেটব্যথা ও হজমের সমস্যা। সেই কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়।
চিকিৎসকরা এই বিষয়ে কয়েকটি কথা মনে রাখতে বলেছেন। তাঁদের মতে:
১. মনে রাখা দরকার অ্যান্টিবায়োটিক কেবলমাত্র ব্যাকটিরিয়া জনিত সংক্রমণের জন্য উপযোগী। ভাইরাল সংক্রমণ যেমন, সর্দি বা কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়।
২. ভাইরাল অসুখের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে ওজন বৃদ্ধি, ওবেসিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমেরও ক্ষতি হতে পারে।