আমাদের প্রতিটা দিনই কোনও না কোনও যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে। যন্ত্র ছাড়া এ যুগে চলাই মুশকিল। তেমনই একটি হল রান্না ঘরের ফ্রিজ। রোজকার জীবনযাপনে এই যন্ত্রটি কত উপকারে লাগে তা সবাই জানে। খাবারদাবার এখন বারবার রান্না করা সম্ভব হয় না। তাই এক-দুইবারে রান্না করে তা ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। পরে নিশ্চিন্তে সে খাবার গরম করে খাওয়া যায়। এছাড়াও, বাজার থেকে কেনা শাকসবজি, ফলমূল ও মাছমাংসও একইভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তবে এই সংরক্ষণ কতটা ভালো বা কতটা খারাপ জানেন?
নভেম্বরের ১৮ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত পালিত হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ। জীবাণু থেকে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের ব্যাপারে সচেতন করতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফ্রিজে খাবার রাখার উদ্দেশ্যও সেটাই। জীবাণুর সংক্রমণের ফলে খাবার যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়।
আগে ফ্রিজ না থাকার কারণে বেশি খাবার মজুত করা সম্ভব হত না। বেশি খাবার একসঙ্গে রান্না করে রাখাও মুশকিল ছিল। তবে এখন সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। ফ্রিজের তাপমাত্রা খাবারে জীবাণুর সংক্রমণ আটকায়। পাশাপাশি দীর্ঘসময় ধরে খাবার টাটকা রাখে।
আয়ুর্বেদ মতে, খাবার রান্না করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে খেয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ সম্পূরৃণ পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের মতে, এটি অনেকটাই সঠিক। ফর্টিস এসকর্টের চিকিৎসক ডাঃ অভিনব অগ্ৰহারী জানাচ্ছেন, দীর্ঘসময় ফ্রিজে খাবার থাকলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। কোন খাবার কতদিন বা কতঘন্টা ফ্রিজে রাখা উচিত সেটা জেনে রাখা ভালো। এতে পুষ্টিগুণ থাকতে থাকতে খাবারটি খাওয়া যায়।
কোন খাবার কেমন থাকে
ফ্রিজে মাছ মাংস রাখলে তা বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। পুষ্টিগুণও নষ্ট হয় না। তবে শাকসবজি এক-দুদিনের বেশি থাকলে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ফলমূল ফ্রিজে রাখলে এক-দুদিনের মাথায় ভালোই ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়।
কী কী মাথায় রাখবেন?
- ফ্রিজের তাপমাত্রায় কোনও জীবাণুই সেভাবে সক্রিয় থাকে না। তবে শাকসবজি ইত্যাদি ধুয়ে ফ্রিজে রাখা উচিত। ধোয়া না হলে এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকে। এর থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
- ভিটামিন ফ্রিজের তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ থাকলে নষ্ট হতে থাকে। ফলে ভিটামিন জাতীয় খাবার বেশিক্ষণ ফ্রিজে না রাখাই ভালো।
- ফ্রিজ থেকে খাবার বের করা ও ফ্রিজে রাখার সময় হাত পরিছন্ন থাকা উচিত। হাত থেকেও জীবাণু সংক্রমণ ছড়াতে পারে।