এপ্রিল ফুলস ডে ২০২৪ ঘিরে স্বভাবতই অনেকেই ফন্দি আঁটছেন, ১ এপ্রিল কাকে বোকা বানানো যায়, তা নিয়ে। ফলে ১ এপ্রিলের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বহু প্ল্যান। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন, শুধু একটা গোটা দিনকে কেন বোকা বানানোর জন্য উদযাপন করা হয়? কী থাকতে পারে এর নেপথ্যের কাহিনি? এপ্রিল ফুলস ডে নিয়ে কোন ইতিহাস রয়েছে? দেখে নেওয়া যাক।
সকলের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে মজা ফুর্তিতে কাটানোর দিন এপ্রিল ১ উদযাপনের নেপথ্যে সঠিক কী ঘটনা ছিল, তা নিয়ে বহু তথ্যই উঠে আসে। তবে অনুমান, ১৬ শতকে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে গ্রেগারি জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারে পরিবর্তনের সময়কাল থেকেই এই ১ এপ্রিল উদযাপন হয়ে থাকে। ক্যালেন্ডার মাফিক, ১৫৮২ সালে প্রথমবার পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন বছর শুরু হয়। তার আগে, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মতে, ১ এপ্রিলকে বছরের প্রথম দিন ধরা হত। অর্থাৎ জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সময়ে মার্চের শেষলগ্নকে মনে করা হত বছরের শেষ। আর বছরের শুরুর দিনটি হল এপ্রিলের প্রথম দিন। যদিও গ্রেগারি জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারে সেটি পাল্টে যায়। তবে গ্রেগারি জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা হলেও, তা অনেকেই মেনে নিতে চাননি। অনেকেই ১ এপ্রিলকেই বছরের শুরুর দিন বলে মনে করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রচারিত হতে থাকে যে, যাঁরা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার না মেনে ১ এপ্রিলে নববর্ষ পালন করবে, তাঁদের 'বোকা' বলা হবে। তাঁদের নিয়ে হবে হাসি খোরাক। গোটা ঘটনাই ইউরোপকে কেন্দ্র করে হতে থাকে। কারণ ফ্রান্সই প্রথম জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের স্বীকৃতি দিতে থাকে। সেই থেকেই ১ এপ্রিল থেকেই 'এপ্রিল ফুলস ডে' পালিত হয়।
আবার অনেকে বলে থাকেন, ল্য়াটিন শব্দ ‘হিলরা’ থেকে এই এপ্রিল ফুলের ভাবনা এসেছে। এই শব্দের অর্থ হল হাসি ঠাট্টা। আর তা থেকেই এই এপ্রিল ফুল-এর দিন হাসি আনন্দে মেতে থাকার ভাবনা এসেছে। জিওফ্রে চসারের ‘দ্য ক্যান্টেরবারি টেলস’-এ ৩২ মার্চ বা ১ এপ্রিলের উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিলকে কেন্দ্র করে বিশেষভাবে কোনও একটি ছুটি না থাকলেও, এই দিনে সকলের সঙ্গে মিলে মিশে হাস্যরসে মেতে ওঠার দিন হিসাবে পালিত হয়। ফলে সাবধানে থাকুন, আপনাকে যেন কেউ এপ্রিল ফুল-এর দিন বোকা না বানিয়ে দিতে পারেন!