বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Horror movies impact on mental health: রাতে ভয়ের সিনেমা দেখছেন? এর ফলে কী হতে পারে জানেন কি

Horror movies impact on mental health: রাতে ভয়ের সিনেমা দেখছেন? এর ফলে কী হতে পারে জানেন কি

ভয়ের সিনেমা দেখলে কী হয়? (ফাইল ছবি)

ভয়ের সিনেমা শুধু মনের উপর প্রভাব ফেলে না, প্রভাব ফেলে শরীরের উপরেও।

ভয়ের সিনেমা দেখতে অনেকেই পছন্দ করেন। শীতের রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেপের নীচে বসে যদি গা ছমছমে একটা সিনেমা দেখা যায়, তাহলে শীতের মজা অনেকের কাছেই বেড়ে যায়। ভয়ের সিনেমা দেখে ভয় পাওযারও একটা মজা আছে অনেকের কাছেই।

তা না হয় হল, কিন্তু এই ভয়ের সিনেমা দেখা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলে? ভয় কি সিনেমা দেখার সময়টুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ, নাকি তার রেশ রয়ে যায় অনেক পরেও? কী বলছে গবেষণা?

সম্প্রতি ‘মিডিয়া সাইকোলজি রিসার্চ সেন্টার’-এর একটি গবেষণাপত্রে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভয়ের সিনেমার প্রভাব মোটেই তাৎক্ষণিক নয়। বহু সময় পরে পর্যন্ত থেকে যেতে পারে এর প্রভাব। বিশেষ করে রাতে ভয়ের ছবি দেখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো কথা নয় বলে জানানো হয়েছে এই গবেষণাপত্রে।

কী হয় রাতে ভয়ের ছবি দেখলে?

গবেষকদলের প্রধান পামেলা রুটলেজের মতে, সব সময়টের পাওয়া যায় না, কিন্তু ভয়ের ছবি প্রথমেই প্রভাব ফেলে ঘুমের উপর। ঘুম কমে যায়। বিছানা শুয়ে থাকলেও ঘুম পাতলা হয়ে যায়। দুঃস্বপ্ন আসতে থাকে। টানা তিন রাত এই সমস্যা চলতে থাকলে, তা মস্তিষ্কের উপর পাকাপোক্ত প্রভাব ফেলে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। ভবিষ্যতে ডেলিউশন, হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যা বাড়তে পারে এর ফলে। এই সব ক’টি সমস্যাই প্রভাব ফেলে রক্তচাপের উপর। বেড়ে যায় রক্তচাপ। তাতে হৃদযন্ত্রের ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ে।

তবে এখানেই শেষ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, যাঁরা নিয়মিত ভয়ের সিনেমা দেখেন এবং ভয় পান, তাঁদেরও ওজনও বাড়তে পারে। এর সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে ঘুম কমে যাওয়ার। কম ঘুম হলে ওজন বাড়তে থাকে। বাড়ে ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও।

তাহলে কি ভয়ের ছবি পুরোপুরি বাদ? তা নয়। মনোবিদদের পরামর্শ, ভয়ের ছবি দেখতে যদি ভালোবাসেন, তাহলে দিনের বেলা দেখুন। একান্তই রাতে দেখতে হলে আলো জ্বেলে রেখে দেখুন। এর পরেও যদি ভয় লাগে, তাহলে একা দেখবেন না। সেক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো কিছুটা কমে যেতে পারে। 

বন্ধ করুন