কিশমিশে বহু ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভর্তি। তালই কিশমিশ খেলে মেদের পরিমাণ কমে, শরীর থেকে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। কিন্তু অনেকেরই ধারণা, কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে এই গুণ অনেকটা বেড়ে যায়। সত্যি কি তাই? কী বলছেন পুষ্টিবিদ?
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিদ ভূবন রাস্তোগি এই বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেকেই অতিরি,ক্ত পুষ্টির জন্য কিশমিশ ভিজিয়ে খান। কিন্তু তাতে কি কোনও লাভ হয়?
ভূবন রাস্তোগির কথায়, ‘ভারতে অনেকেরই ধারণা ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ একটি Superfood। এটি খেলে নানা ধরনের সমস্যা কমে যেতে পারে। সেই কারণেই আঙুরের মরশুমেও তাঁরা কিশমিশই খান। এবং সেটি ভিজিয়ে খান।’
বিশেষজ্ঞের কথায়, মনে রাখা উচিত, কিশমিশ আসলে শুকনো আঙুর ছাড়া আর কিছুই নয়। তাহলে ভেজা কিশমিশ খেয়ে অতিরিক্ত লাভ কোথায়?
ভূবন রাস্তোগি বলছেন, অনেকেই মনে করেন, কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে বা কিশমিশ ভেজা জল খেলে ওজন কমে। কিন্তু বিষয়টি আদপেও তেমন কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই।
পুষ্টিবিদের কথায়, আঙুরে যে কোনও ভিটামিনের পরিমাণ ভেজা বা শুকনো কিশমিশের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি। তাহলে পুষ্টির জন্য কেন খাবেন কিশমিশ? বিশেষজ্ঞ বলছেন, পুষ্টির জন্য তখনই কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে, যখন আঙুরের মরশুম নয়। অর্থাৎ আঙুর পাওয়া না গেলেই শুধু কিশমিশ খান। না হলে আঙুরই খান, তাতে লাভ অনেক বেশি।