ইদানিং হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে জীবন যে কবে বা কখন থেমে যাবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম বড় কারণ হলো হাই কোলেস্টেরল। রক্তে কোলেস্টোরেলের মান বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
হাই কোলেস্টেরল কী?
কোলেস্টেরল হল একটি মোম যুক্ত, চর্বি জাতীয় পদার্থ যা হরমোন উৎপাদন এবং অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়া-কলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি প্রধানত দুই প্রকার, নিম্ন ঘনত্বের লিপো প্রোটিন, উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন। নিম্ন ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। এটি যখন ধমনীতে জমা হয় তখনই হৃদরোগে ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন রক্ত প্রবাহ থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। নিম্ন ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল যখন উচ্চমাত্রায় শরীরে জমা হয় তখনই বলা হয় হাই কোলেস্টেরল হয়েছে।
(আরো পড়ুন: ডিজেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে পরোটা, পেটপুরে খাচ্ছেন অনেকেই! স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন)
শরীরে কোলেস্টরেল বাসা বেধেছে কিনা তা চট করে বোঝা যায় না। তবে আপনার চোখ মুখ কিন্তু বলে দিতে পারে আপনার শরীরে বাসা বেধেছে কোলেস্টরেল। চোখে মুখে ঠিক কী ধরনের পরিবর্তন এলে আপনি বুঝবেন আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা উচ্চ? জানুন।
ত্বকে হলুদ ছোপ: ত্বকে, বিশেষ করে চোখের পাতার চারিপাশে হলুদ ছোপ সৃষ্টি হয় যদি আপনার শরীরে হাই কোলেস্টরেল বাসা বাধে। এটিকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় জ্যান্থেলাসমা।
কর্নিয়ার চারিদিক পরিবর্তন: কর্নিয়ার প্রান্তের অংশ যদি হঠাৎ করে সাদা বা ধূসর রঙের হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে বাসা বেধেছে হাই কোলেস্টেরল। এটিকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় আর্কাস সেনেলিস। ৪৫ বছর কম বয়সীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যায়।
(আরো পড়ুন:কিনে দেননি বলে স্বামী ডিভোর্স দেবেন স্ত্রী! কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ)
স্কিন পিগমেন্টেশন: হাই কোলেস্টেরল থাকলে ত্বক হয়ে যায় হলুদ রঙের। শুধু জন্ডিস নয়, কোলেস্টেরল থাকলেও আপনার ত্বক হয়ে যেতে পারে হলুদ। রক্তে লিপিডের পরিমান বেড়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়, এদিকে বলা হয় হাইপারলিপিডেমিয়া।
হলুদ রঙের ফুসকুড়ি: ত্বকে যদি হলুদ রঙের ফুসকুড়ি বা বড় বড় দাগ হতে দেখেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরকম সমস্যা হলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করুন।