আপনার এক ফোঁটা রক্ত বাঁচিয়ে দিতে পারে একজন ব্যক্তি জীবন। বলা হয়, রক্তদানের থেকে মহৎ কর্ম আর কিছুই হয় না। তাই শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর রক্তদান করা প্রয়োজন। তবে আপনি কি জানেন কেন পালন করা হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস?
কবে পালন করা হয় বিশ্বর রক্তদাতা দিবস
প্রতিবছর ১৪ জুন পালন করা হয় বিশ্ব রক্ত দাতা দিবস
রক্তদাতা দিবসের উদ্দেশ্য
বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের উদ্দেশ্য হলো, রক্তদানের গুরুত্ব এবং জরুরী পরিস্থিতিতে নিরাপদ রক্ত দানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
(আরো পড়ুন: কোন ধরনের নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী? জানাল ICMR)
২০২৪ সালে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের থিম
চলতি বছর রক্তদাতা দিবস তার ২০ তম বার্ষিকী পালন করছে। এই বছরের থিম হলো, 'দানের ২০ বছর উদযাপন: রক্ত দাতাদের ধন্যবাদ'।
WHO নির্দেশিকা অনুযায়ী রক্তদান করার জন্য রক্তদাতার মধ্যে থাকতে হবে কী কী বৈশিষ্ট্য:
১) রক্ত যিনি নেবেন তার মধ্যে শারীরিক জটিলতা থাকলেও যিনি রক্ত দান করবেন তার মধ্যে যেন কোনও শারীরিক জটিলতা না থাকে।
২) একজন রক্তদাতার ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি হওয়া উচিত।
৩) বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
৪) ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বা অন্য কোনও সংক্রমণ থাকলে রক্তদান করা যাবে না।
৫) স্বাভাবিক রক্তচাপ থাকতে হবে রক্তদান করার সময়।
৬) হিমোগ্লোবিন থাকতে হবে ১২.৫g/dl।
৭) গর্ভবতী বা সন্তান প্রসবের ৬ মাস না হলে রক্ত দান করা যায় না।
৮) রক্ত দান করা যায় না ঋতুস্রাব চলাকালীন।
(আরো পড়ুন: রোজ মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন? অজান্তেই শরীরে অ্যালকোহল চলে যাচ্ছে না তো)
৯) রক্তদান করার ৪৮ ঘন্টা আগে যদি অ্যালকোহল পান করে থাকেন তাহলে রক্ত দেবেন না।
১০) প্রেসার সুগার বা অন্য কোনও ওষুধ চলাকালীন রক্ত দান করা যায় না।
১১) ছ মাস আগে যদি অস্ত্র প্রচার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই রক্ত দান করবেন না।
১২) রক্ত দান করার ছ' মাসের মধ্যে যদি ট্যাটু করিয়ে থাকেন তাহলে রক্ত দেবেন না।
প্রসঙ্গত, একজন রক্তদাতা হিসাবে আপনি যেমন রক্ত দেবেন তেমন অন্যদের উৎসাহিত করবেন রক্ত দান করার জন্য।