মানব দেহের বোধহয় সব থেকে জরুরি অঙ্গ হল হার্টম তাই একটা সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন কাটাতে চাইলে অবশ্যই আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। হ্যাঁ, এটা ঠিক বর্তমান সময়ে নানান কাজের এত চাপ যে সেটা সম্ভব হয় না। বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ সহ নানান স্ট্রেস থাকে। সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন তো আছেই। আর সবটা মিলিয়েই আমাদের হার্টের উপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। আর সেই কারণে অতি অল্প বয়সেই হার্টের নানান অসুখ, যেমন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক দেখা দিচ্ছে।
শুধু শরীর চর্চা বা হাঁটাহাঁটি করলেই হার্টের অসুখকে দূরে রাখা যায় না। হার্টের অসুখকে দূরে রাখতে চাইলে আপনাকে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক সহ নানান হার্টের অসুখ দূরে রাখার জন্য। শরীর চর্চার জন্য খাবারও সমান গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য।
কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের ঘরে থাকা পাঁচটি মশলা হার্টের অসুখ দূরে রাখে। আমরা যদি নিয়মিত এই মশলাগুলো খাই তাই হার্টের অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ভাবছেন কোন মশলা? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১. হলুদ: হলুদ ছাড়া রান্না? এ যেন ভাবাই যায় না। সমস্ত রান্নাতেই হলুদ দিতে লাগে। হলুদ যে শুধু রান্নাতেই ব্যবহার করা হয় এমনটা নয়। এটার একাধিক অন্যান্য উপকারিতা আছে। একাধিক রোগে হলুদ ব্যবহার করা হয়। দাঁতে ব্যথা, বুকে ব্যথা, সহ একাধিক রোগে হলুদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। LDL কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে হলুদ, একই সঙ্গে এটা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। হার্টের অসুখ, প্যানক্রিয়াসের অসুখ, ফুসফুসের রোগ, অন্ত্রের রোগ সব কিছুকেই দূরে রাখে হলুদ।
২. রসুন: রসুন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। রসুন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, একই সঙ্গে এটা কার্ডিওভাসকুলার রোগকেও দূরে রাখে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে এই মশলায়।
৩. আদা: অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে আদায়। এটা হার্টকে ভালো রাখে। স্ট্রেস কমায়। কোলেস্টরলের মাত্রায় কমায় আদা, বাড়ায় লিভারের কার্যকারিতা।
৪. গোলমরিচ: এই মশলা খারাপ কোলেস্টরল কমায়। এতে থাকা পিপারাইন খারাপ কোলেস্টরল কমায়। এতে থাকা ভ্যানাডিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৫. ধনে: এই মশলাটি একাধিক খাবারে দেওয়া হয়ে থাকে। এর হাইপোলিপিডেমিক ক্রিয়া হার্ট ভালো রাখে। একই সঙ্গে এটি খারাপ কোলেস্টরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টরল বাড়ায়। একই সঙ্গে এটা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।