গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা ঠান্ডা কফি এমন একটি পানীয়, যা খেলে মন একেবারে ঠান্ডা হয়ে যায়। রেস্টুরেন্টে বসেও কোল্ড কফি অর্ডার করে থাকেন অনেকেই। বাড়িতে বানিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু যে সমস্ত কোল্ড কফি হয় বোতলজাত, সেগুলি আপনার শরীরে ঠিক কতটা ক্ষতি করছে, সেটাই জানানো হবে এই প্রতিবেদনে।
ডক্টর মোনাল ভেলাঙ্গি, পুষ্টি এবং ডায়েটেটিক্স বিভাগের সিনিয়ার ডায়েটিশিয়ান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বেশিরভাগ বোতলজাত কোল্ড কফিতে প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম কফিতে থাকে ১৫ মিলিগ্রাম চিনি। এই অতিরিক্ত চিনি আপনার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দিতে পারে।’
(আরও পড়ুন: রাখিপূর্ণিমা এখানে ব্ল্যাক ডে, কেন ভারতের এই সমস্ত জায়গায় পালন হয় না এই উৎসব)
পুষ্টিবিদ গরিমা দেব বর্মন বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি যদি বারবার বোতলজাত কোল্ড কফি পান করেন, সে ক্ষেত্রে তার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ভীষণভাবে বেড়ে যেতে পারে। পরবর্তীকালে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত বোতলজাত কোল্ড কফি পান করলে।’
কোল্ড কফি যদি পান করতেই হয় তাহলে সব থেকে ভালো বিকল্প হল, চিনি ছাড়া কোল্ড কফি পান করা। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি ক্যাফাইন সেবন করেন, সেক্ষেত্রে আপনার গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন নিঃসরণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কোল্ড কফি খাওয়া যেতেই পারে কিন্তু তা যেন হয় চিনি মুক্ত।
শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে ফেলার আরও একটি দুর্দান্ত উপায়ে রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, ইনস্ট্যান্ট কোল্ড কফি পান করার কিছুক্ষণ আগেই চেষ্টা করবেন স্যালাড খেতে। স্যালাডে থাকা ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তবে কোল্ড কফি কখনও ভোরবেলা বা গভীর রাতে খাওয়া উচিত নয়।
(আরও পড়ুন: করোনার পর নতুন মহামারি কি বিশ্বজুড়ে? এবার সুইডেন আক্রান্ত এমপক্সে)
যে সমস্ত মানুষের ওজন বেশি, যাদের ডাইবিটিস আছে, ছোট শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তিদের ইনস্ট্যান্ট প্যাকেটজাত কোল্ড কফি পান করা একেবারেই উচিত নয়। কোল্ড কফিতে থাকা অতিরিক্ত চিনি হঠাৎ করেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এই সমস্ত মানুষের শরীরে।