কালীপুজো চলে যাওয়া মানেই আচমকা আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা। কুয়াশা পড়া, রাতের বেলায় ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া, ভোরের শিশির, ইত্যাদি। আবার এদিকে দুপুরে বেশ গরম থাকে। সবটা মিলিয়েই এমনটা একটা আবহাওয়া থাকে যে ঠাণ্ডা গরম লাগতে বাধ্য। আর এর থেকেই হয় সর্দি কাশির মতো সমস্যা।
সর্দি কাশি যদিও বারমাসিক একটা রোগ, তবুও এই সময়টা যেন ঘরে ঘরে এই রোগ দেখা যায়। তবে ওষুধের বদলে ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেও এই রোগকে কাবু করতে পারবেন। জোয়ান এবং গোলমরিচের কাড়া বানিয়ে খান দারুন উপকার পাবেন।
এই সময় সর্দি কাশি হয় কারণ আবহাওয়া বদলায় আর তার সঙ্গে বাড়ে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস। আর এর থেকেই ভাইরাস গঠিত রোগ বাড়ে। তাই সর্দি কাশির সমস্যা যা ভাইরাসের কারণে হয়েছে সেটার হাত থেকে বাঁচায় গোলমরিচ, জোয়ানের কাড়া। এই কাড়ায় আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এবং সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
জোয়ান গোলমরিচের কাড়া যে শুধুই আপনাকে সর্দি কাশির হাত থেকে নিষ্কৃতি দেবে এমনটা নয়। এটা আপনার হজমের সমস্যা থাকলে সেটাও দূর করতে সাহায্য করবে। জোয়ান এমনই হজম করতে সাহায্য করে, এ কথা সকলেই জানেন। তাই ঠাণ্ডা গর্মির পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে খান এই কাড়া।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা ভুলভাল কিছু খেয়ে ফেললে, পেটের গন্ডগোল দেখা দিলে এই কাড়া আপনাকে উপসম দিতে পারে। এক কাপ জল নিন, তাতে জোয়ান গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। এবার ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে খান। সঙ্গে বিটনুন দিতে পারেন। এতে গ্যাসের সমস্যা কমে।
এছাড়া আপনি যদি গাঁটের ব্যথায় ভুগে থাকেন তাহলেও এই কাড়ায় উপসম পাবেন। গোলমরিচ জোয়ানের কাড়ায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি আর্থরাইটিস উপাদান। যা ব্যথা, বেদনা থেকে আরাম দেয়।
তাই ঠাণ্ডা গরম থেকে সর্দি কাশি হোক, কিংবা গ্যাস অম্বল বা দুর্বল হজম শক্তির সঙ্গে আর্থরাইটিস, যাই হোক না কেন ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদান জোয়ান গোলমরিচের কাড়ায়। আরাম পাবেন নিমেষেই।