সিকেল সেল ডিজিজ হল এমন জেনেটিক রক্তের রোগ, যা দেখা যায় ভারতের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। চিকিৎসকরা এই রোগকে ‘আন্ডারেটেড ব্লাড ডিসঅর্ডার’ বলেন। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে এই রোগের অবস্থান রয়েছে। বিশেষত বর্ষা বা আদ্র জনিত আবহাওয়ায় এই রোগের পাদুর্ভাব অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়।
সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরের লোহিত রক্তকণিকাগুলি বেঁকে যায়, অনেকটা কাস্তের আকার ধারণ করে। এর ফলে লোহিত রক্ত কণিকাগুলি সারা শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না সঠিকভাবে। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। যদিও এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকরা কিছু ওষুধ লিখে দেন যা সারা জীবন খেতে হয় রোগীকে।
(আরো পড়ুন: কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস? জেনে রাখুন এই দিনটির ইতিহাস)
বর্ষায় এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
হাইড্রেটেড থাকুন: গরম হোক বা বর্ষা, অতিরিক্ত জল পান করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি শরীরকে জনশূন্য করে দেন তাহলে এই রোগ খুব সহজে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। ডিহাইড্রেশনের কারণে কাস্তে আকৃতির লোহিত রক্ত কণিকাগুলি একসঙ্গে জমাট বাঁধে এবং রক্তের প্রবাহ সঠিকভাবে হতে দেয় না। এর ফলে শারীরিক ব্যথা এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়।
বাইরে বের হবেন না: ঠান্ডা তাপমাত্রায় এই রোগ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় তাই যদি বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলে তাহলে চট করে বাইরে বের হবেন না। যাদের এই রোগ রয়েছে তাদের ঠান্ডা লেগে শরীরে ব্যথা এবং অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
নিয়মিত ওষুধ খাওয়া: এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। ওষুধ অনিয়মিত হলে শরীরের জটিলতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
(আরো পড়ুন: যাদের জীবনে হারিয়েছে সব রং, তাদের পাশে থাকতেই পালন করা হয় বিধবা দিবস)
কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন: এই রোগে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না। বিশেষ করে গরম এবং আদ্র আবহাওয়ায় বেশি করে বিশ্রাম নেবেন, না হলে শরীর জলশূন্য হয়ে যাবে এবং আপনার শরীরে তৈরি হবে ক্লান্তি, যা এই রোগের জন্য একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।
নিয়মিত চেকআপ: সামান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। বিশেষ করে বর্ষাকালে শরীরে সামান্যতম সমস্যা দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে এই রোগ বৃদ্ধি পাবে না।