আয়ুর্বেদ অনুযায়ী চুল পড়ে যাওয়া বা চুল কেন্দ্রিক অন্যান্য সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। তাই চুলের যত্ন নিতে চাইলে ভালো চুল পেতে চাইলে এটা ভীষণ জরুরি যে আমরা যেন এনার্জি এবং টিস্যুর সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দিই। চুলের সমস্যা দূর করতে চাইলে থেরাপি করা জরুরি এর মধ্যে রয়েছে শোধন থেরাপি, ইত্যাদি।
আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোন ১০ আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নেবেন:
১. আয়ুর্বেদিক থেরাপি: নস্য, বস্তি, শিরোধরা, শিরোঅভঙ্গ, শিরোলেপা, ইত্যাদি মাসে অন্তত একবার করে করা উচিত বাড়িতে। এই থেরাপিগুলো করলে আমাদের শরীরের জোট সমস্যা রয়েছে যার কারণে চুল পড়ে সেগুলো দূর হবে। রক্ত শুদ্ধ হবে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
২. তেল: নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া এবং ম্যাসাজ করা ভীষণ জরুরি আয়ুর্বেদিক মতে। আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করে ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। যেদিন মাথায় তেল দেবেন তারপর দিন শ্যাম্পু করে নিন।
৩. চুল কাটুন: স্প্লিট এন্ড এবং খারাপ চুল আরও ক্ষতি করতে পারে চুলের। এতে দেখতেও খারাপ লাগে। তাই এসব সমস্যা দূর করতে হলে নিয়মিত চ কাটবেন। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ অন্তর চুল কাটা জরুরি।
৪. রাসায়নিক নেই এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন: ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই সিলিকন, প্যারাবেন, সালফেট, ইত্যাদি নেই এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যা চুলের জন্য ভালো।
৫. হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন: শিরোলেপা বা হেয়ার মাস্ক চুলের জন্য ভীষণই ভালো। এগুলো চুলে লাগালে স্ক্যাল্প পুষ্টি পায় এবং চুল ভালো হয়। সপ্তাহে এক থেকে দুবার মাথায় হেয়ার মাস্ক লাগানো উচিত। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ডিমের সাদা অংশ, অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আমলকি গুঁড়ো, হেনা এবং মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে সেটা চুলে লাগালে উপকার পাবেন। এই প্যাক চুলে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৬. পুষ্টিকর খাবার: ভালো চুল ভালো পুষ্টি থেকেই পাওয়া সম্ভব। তাই রোজ এমন খাবার খান যাতে রয়েছে প্রোটিন, মিনারেল, ইত্যাদি। এছাড়া আমলা, তিল, ঘি খাবেন নিয়মিত।
৭. ভালো ঘুম: ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার। রোজ ভালো ঘুম হলে সেটা আমাদের স্বাস্থ্য এবং চুল দুই ভালো রাখে।
৮. চুল কখনও খুব গরম জল দিয়ে ধোবেন না, বা খার আছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। হয় ঠাণ্ডা কিংবা হালকা গরম জল ব্যবহার করুন মাথা ধোয়ার জন্য। মেথি, দই, ত্রিফলা, জবা দিয়ে প্যাক বানান।