বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > শীতের শুরুতেই সর্দি কাশি ঠান্ডা? আয়ুর্বেদিক উপায়ে মিলতে পারে সুরাহা।

শীতের শুরুতেই সর্দি কাশি ঠান্ডা? আয়ুর্বেদিক উপায়ে মিলতে পারে সুরাহা।

আয়ুর্বেদিক টোটকাও সারিয়ে তুলতে পারে মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, কাশি (Pixabay)

শীতের শুরু মানেই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আসে ঠান্ডা ও সর্দি। ঘরোয়া উপকরণে তৈরি কিছু আয়ুর্বেদিক টোটকাই এর জন্য যথেষ্ট। সমাধান বাতলে দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ।

শীতকালের শুরু মানেই সর্দি কাশির আবহাওয়া। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় ডাক্তাররা তাই সাবধানে থাকতে বলেন। একটু অসাবধান হলেই ঠান্ডা লেগে দুর্বল হতে পারে শরীর। এছাড়া মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, কাশি ও বুকে কফ জমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণের মাত্রা। এছাড়াও গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে ওমিক্রনের নতুন নতুন ভ্যারিয়ান্ট। এই অবস্থায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া মোটেই কাজের কথা নয়।

ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীর খারাপ হলে ডাক্তার দেখানো বাঞ্ছনীয়। তবে ওষুধের পাশাপাশি কিছু আয়ুর্বেদিক টোটকাও সারিয়ে তুলতে পারে এই অসুখ।

আয়ুর্বেদিক টোটকার উপাদান হিসেবে আমাদের অতিপরিচিত কিছু ভেষজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রথমেই বলা যায় আদার কথা। আদা শরীরের ভিতরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও হলুদ, গোলমরিচ, তুলসী, পুদিনা পাতা, আজওয়ান, মেথি ইত্যাদি আয়ুর্বেদিক টোটকার মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এগুলো সব গৃহস্থ বাড়িতেই উপলব্ধ থাকে।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার সম্প্রতি তাঁর এক ইন্সটাগ্ৰাম পোষ্টে জানিয়েছেন তেমন কয়েকটি টোটকার কথা।

১. শুকনো আদার গুঁড়োকে শুথি বলা হয়। শুথিসিদ্ধ জল তৈরি করতে প্রথমে এক লিটার জল নিয়ে তাতে শুকনো আদার গুঁড়ো মেশাতে হবে। শুকনো আদার গুঁড়ো না থাকলে টাটকা আদার ছোট টুকরোও দেওয়া যেতে পারে। এরপর মাঝারি আঁচে দশমিনিট ফোটাতে হবে। ফোটানোর পর ঠান্ডা করে নিয়ে একটি স্টিলের বোতলে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই জল অল্প অল্প করে খাওয়া যায়।

২. ভেষজ মিশ্রণ তৈরি করতে প্রথমে অর্ধেক চা চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে অর্ধেক চা চামচ আদা গুঁড়ো মেশাতে হবে। এরপর মিশ্রণে একটা ক্রাশ করা গোলমরিচ ও এক চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ সারাদিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়ার আগে ও পরে খেতে হবে।

৩. আয়ুর্বেদিক উপায়ে তৈরি ভেপার নেওয়ার মিশ্রণ এই সময় যথেষ্ট কার্যকরী। দুই গ্লাস জলে একমুঠো তুলসীপাতা, পাঁচ-ছটা পুদিনা পাতা ও এক চা চামচ আজওয়ান মেশাতে হবে। এরপর এতে অর্ধেক চা চামচ মেথি ও অর্ধেক চা চামচ হলুদ দিয়ে সাত থেকে দশ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণের ভাপ দিনে দুবার করে নিলে কফ অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে।

৪. গার্গলের মিশ্রণ তৈরি করতেও রয়েছে আয়ুর্বেদিক সমাধান। এক গ্লাস জলে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট ফোটাতে হবে। এই মিশ্রণ দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার গার্গল করে গলা ব্যথা ও সর্দি অনেকটাই কমে যাবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হলুদ অর্ধেক চা চামচ দিতে হবে।

 

 

বন্ধ করুন