Baba Vanga: আপনারও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন ব্যবহারের অভ্যাস! বাবা ভাঙ্গার এই ভবিষ্যদ্বাণী আপনার ঘুম কেড়ে নেবে…

Baba Vanga: স্মার্টফোন আবিষ্কারের অনেক বছর আগে থেকেই এর আবিষ্কার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা।

বাবা ভাঙ্গাকে 'বলকানের নস্ট্রাডামাস' হিসেবে চেনে সারা বিশ্ব। পৃথিবী ছেড়ে ইহলোকে যাওয়ার আগে তিনি অনেক চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যার অনেকগুলিই সত্য হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ২০০৪ সালের সুনামি এবং ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ভবিষ্যদ্বাণী। বাবা ভাঙ্গার একগুচ্ছ ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে তিনি আজকের প্রযুক্তিগত যুগ সম্পর্কেও একটি ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন যা খুব কম মানুষই জানেন।

স্মার্টফোন সম্পর্কে কী বলে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা

আসলে, বাবা ভাঙ্গা স্মার্টফোন আবিষ্কারের অনেক বছর আগে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তিনি আগেই বলেছিলেন যে ২০২২ সালের পর মানুষ তাদের ফোনে আরও বেশি সময় ব্যয় করতে শুরু করবে এবং স্ক্রিন টাইম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। আজকের পৃথিবীর দিকে তাকালে, এটি সত্য বলে মনে হয়। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সকলেই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং টিভি স্ক্রিনে ডুবে আছে। এই কারণে, মানুষের স্ক্রিন টাইম অনেক বেড়েছে।

ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২৪ শতাংশ শিশু ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন দেখে এবং প্রায় ৩৭ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের কারণে তাদের পড়াশোনা বা কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী কতটা সঠিক ছিল।

বাবা ভাঙ্গার অন্যান্য ভবিষ্যদ্বাণী কি সত্য প্রমাণিত হবে

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণীতে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা এখনও আলোচনার অধীনে রয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন যে ২০২৫ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে, যা সমগ্র বিশ্বের জন্য সংকট তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, তিনি ২০৪৩ সালে ইউরোপে ইসলাম শাসন প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছিলেন।

বাবা ভাঙ্গা কে ছিলেন

বাবা ভাঙ্গা ১৯১১ সালের ৩১ জানুয়ারি বুলগেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাবা ভাঙ্গা। ছোটবেলায় এক ঝড়ে নিজের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। জেগে উঠেছিল তাঁর অন্তর্দৃষ্টি। নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবাক করা কথা বলতেন সেই সময়। ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের ভবিষ্যদ্বাণী করতে থাকেন। তাঁর অনেক কথাই সত্য হয়েছে বলেই বিশ্বাস করেন বাবা ভাঙ্গার অনুসারীরা এবং ভবিষ্যতে তাঁর আরও ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হতে পারে বলেই মনে করা হয়।