অফিসে এক টানা ডেস্কে বসে কাজ করতে করতে অনেক সময় কোমর ধরে যায়, পিঠ ব্যথাও করে। আর এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম অবস্থাতেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। বাড়িতেও সেই আমরা সোফা বা চেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করে, টিভি দেখে কোমরে ব্যথায় ভুগতে থাকি। আর পিঠ ব্যথা হওয়া মানেই সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে ডেস্ক জবের উপর। যেহেতু দিনের অনেকটা সময় আমাদের এক ভাবে বসে কাটে। কিন্তু আপনি কি জানেন পিঠ ব্যথার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে।
কোন কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১. হাড়ের টিবি: যক্ষ্মা রোগটি হাড়েও বাসা বাঁধতে পারে। আগে থেকেই যদি হাড়ের টিবির লক্ষণ না বোঝেন আর চিকিৎসা না করান তাহলে পিঠ ব্যথা হবেই সঙ্গে একাধিক জটিল এবং খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। হাড়ের টিবি হলে শিরদাঁড়া, হিপ জয়েন্ট, ইত্যাদিতেও প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।
২. ক্যানসার: ক্যানসার হলেও পিঠের যন্ত্রণা হয়। যদিও সেটা ভীষণই কম।
৩. ভিটামিন ডি: শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে পিঠ ব্যথা হতে পারে।
৪. কিডনির সমস্যা: কিডনিতে পাথর জমলে কিংবা ইনফেকশন হলে পিঠ ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা তখন তলপেট থেকে পিঠ পর্যন্ত ছড়ায়।
৫. পেলভিক পেইন: মূত্রাশয়, মুত্রথলি, জরায়ু, ইত্যাদিতে কোনও সমস্যা হলে পিঠ ব্যথা হতে পারে।
৬. বিছানা: বিছানা যদি ভীষণ নরম তাহলে কিন্তু পিঠ ব্যথা হতে পারে। কারণ বিছানা নরম হলে পেশিতে টান লাগে, বা লিগামেন্ট এর উপর চাপ পড়ে। আর তার থেকেই পিঠ ব্যথা হতে পারে।
৭. পেশিতে টান: হঠাৎ কোনও ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে পেশিতে টান লেগে পিঠ ব্যথা হতে পারে। এমন কিছুর সম্মুখীন হলে ফেলে রাখবেন না, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নইলে এই ব্যথা বাড়তেই থাকবে।
৮. অস্টিওপোরেসিস: এই রোগ হলে হাড় ক্ষয়ে যায়, আর বর্তমানে এই রোগের সংখ্যা ভারতে ভীষণ রকম বাড়ছে। তবে এই রোগ হলে যে কেবল পিঠ ব্যথা হবে এমনটা নয়। কোমর ব্যথা, বা অন্যান্য গাঁটেও ব্যথা হতে পারে।
৯. সি সেকশন: সিজারে সন্তান হওয়ার আগে কোমরে ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরে এটার কারণে অনেকেই পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন।