জীবনে ব্যালেন্স করাটা জরুরি। আর স্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে তো অত্যন্ত জরুরি। তাও আবার ব্যাক স্কেটিং। সাধারণত, মানুষ স্কেটিং করে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন। কিন্তু এক ব্যক্তি, পিছনের দিকে স্কেটিং করে, নজির গড়েছেন। বিষয়টি নজর টেনেছে গিনিস বুকেরও। নিজের অনন্য প্রতিভা দিয়ে তাই এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ওই ব্যক্তি। ভাইরাল হয়েছে তাঁর ভিডিয়োটিও।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ইনস্টাগ্রামে, ভিডিয়োটি শেয়ার করেছে এবং লিখেছে যে শিবগঙ্গা আরএসসি (রোলার স্কেটিং ক্লাব) এর একজন সদস্যের দুর্দান্ত কীর্তি এটি। এই কীর্তি সম্পূর্ণ করতে তিনি পিছনের দিকে ১০০ মিটার স্কেটিং করেছেন। স্কেটারে চড়ে এই ১০০ মিটার ছুটতে, তাঁর সময় লেগেছে মাত্র ১৪.৮৪ সেকেন্ড। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে যে এই ক্লাবটি কর্ণাটকের বেলগামে অবস্থিত। চলতি বছরের ২৭ মে এই বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োতে
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একজন ব্যক্তি প্রথাগত উপায়ে রোলার স্কেটিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর দিক পরিবর্তন করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই আসল খেল শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। পিছনের দিকে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। প্ৰথমে ধীরে ধীরে হলেও, পরে তাঁর ব্যাক স্কেটিংয়ের গতি বেড়ে গিয়েছিল। কীর্তিটি দেখে গাল হাঁ হয়ে যেতে পারে।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা এই ভিডিয়ো সম্পর্কে কী বলেছেন
এতদিন পর্যন্ত, বিশ্ব রেকর্ডের অনেক ভিডিয়ো দেখে অনেকেই অনেক কথা বলতেন, যে কী দেখে বিশ্ব রেকর্ড হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাক স্কেটিংয়ের ভিডিয়ো দেখে প্রশংসায় ফেটে পড়েছেন প্রত্যেকেই। শেয়ার করার পর থেকে, ভিডিয়োটি প্রায় ৩.১ লক্ষ ভিউ এবং প্রায় ৮,১০০ লাইক পেয়েছে। শেয়ারটি আরও মন্তব্য সংগ্রহ করেছে।
একজন ব্যক্তি কৌতুক করে বলেছেন, আমি এত দ্রুত করতে গিয়ে, আমার সারা শরীর ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলতাম। আরও একজন যোগ করেছেন, মন থেকে স্যালুট। তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ভিডিয়োগ্রাফার হলেন আসল হিরো, যে এত ভালো রেকর্ড করেছেন। আরও একজন ব্যক্তি আবার ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে ভিডিয়োগ্রাফার সম্ভবত একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। নাহলে পারতেন না। চতুর্থ একজন লিখেছেন, ব্র্যাভো। এটা সত্যিই দারুণ।
গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের উৎপত্তি কোথায়
১৯৫১ সাল। একদিন হিউ বিভার বন্ধুদের সঙ্গে পাখি শিকারে বেরিয়েছিলেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই এক ঝাঁক পাখি খুব দ্রুত তাঁদের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। হিউ এবং তার বন্ধুরা অবাক হয়ে গিয়ে, এই পাখিটির খোঁজ চালিয়েছিলেন। সেভাবে কোনও উত্তর পাননি। এরপরই হিউ বিভারের মনে প্রশ্ন এসেছিল যে তাঁর মতো অনেকের মনে এমন অনেক প্রশ্ন থাকবে এবং উত্তর না পেলে তাঁরা চরম হতাশ হবেন। হিউ তখন বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে, লন্ডনের ডেটা সংগ্রহকারী দুই ব্যক্তি নরিস এবং রস ম্যাকওয়ার্টারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর তিনজন মিলেই ১৯৫৫ সালে প্রথম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বের করেছিলেন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বের কৌতুহলী মানুষের কাছে প্রাথমিক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।