১। মেলায় এক তপস্বী আর কোথাও জায়গা না পেয়ে একটা বেলুন ফাটানোর স্টলের পাশে ধ্যান করতে বসলেন।
সেই স্টলে একজন বাঙালি অনেক ক্ষণ ধরে এয়ারগান দিয়ে বেলুন ফাটানোর চেষ্টা করছিল। প্রতিবারই টার্গেট মিস্ করছিল আর আনমনে বলে উঠছিল, ‘ধুর শালা! ফস্কে গেল।’
এতে সেই তপস্বীর সাধনায় ব্যাঘাত ঘটছিল। শেষমেশ থাকতে না পেরে তিনি লোকটিকে অনুরোধ করলেন, যাতে তিনি এভাবে অশালীন শব্দপ্রয়োগ করে চিৎকার না করেন।
কিছুক্ষণ সেটা মেনে চলল, কিন্তু কয়েক বার ফের মিস্ করার পরে আবার সেই ডায়লগ!
তপস্বী আবার অনুরোধ করলেন, লোকটা ক্ষমা চেয়ে আবার প্র্যাকটিস শুরু করল।
কিছুক্ষণ পরেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এভাবে কয়েক রাউণ্ড চলার পর তপস্বী খুব ক্ষেপে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আর একবার এরকম করলে তোমায় আমি ভস্ম করে দেব।’
লোকটা আবার ক্ষমা চেয়ে নিল।
কিন্তু একটু পরেই ফের সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি, ‘ধুর শালা! ফস্কে গেল।’
প্রচণ্ড রেগে তপস্বী উঠে দাঁড়ালেন, দুই চোখ আগুনের মতো জ্বলছে, হাতের কমণ্ডুলু থেকে একটু জল নিয়ে লোকটার গায়ে ছিটিয়ে বললেন, ‘হে ঈশ্বর, এই পাপীকে এক্ষুণি ভস্ম করে দাও।’
বলার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ কালো করে মেঘ ঘনিয়ে এল, কড়াক্কড় শব্দে বিদ্যুত চমকাতে থাকলো, আর প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত নিচে আছড়ে পড়ল সেই তপস্বীর মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে তপস্বীর দেহ পুড়ে ছাই হয়ে গেল!
আর আকাশ থেকে দৈববাণী ভেসে এল—
‘ধুর শালা ফস্কে গেল।’
(আরও পড়ুন: মেঘলা সকালে মন যেন খারাপ না হয়, পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, থাকুন ফুরফুরে মেজাজে)
২। উকিল: তাহলে বলুন, দুর্ঘটনাটা কোথায় হয়েছিল?
সাক্ষী: ৪৯৯ মাইলফলকের কাছে।
উকিল: ৪৯৯ মাইলফলকটা কোথায়?
সাক্ষী: সম্ভবত ৪৯৮ আর ৫০০ মাইলফলকের মাঝামাঝি।
(আরও পড়ুন: উইকেন্ড তো এসেই গেল, আর গোমড়া মুখ নয়, এবার হাসতেই হবে! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৩। বাবা খুব কিপটে। ছেলে অনেক দিন ধরে একটা চশমা চায়। কিন্তু বাবা কিছুতেই কিনে দিতে রাজি নয়। শেষ পর্যন্ত ছেলে একটা রাস্তা খুঁজে বার করল।
ছেলে: বাবা, আমি দূরের জিনিস ভালো দেখতে পাই না। ডাক্তার দেখিয়ে একটা চশমা নেওয়া দরকার।
বাবা: ওপরে তাকা। কী দেখা যায়, বল?
ছেলে: সূর্য।
বাবা: ব্যাটা, আর কত দূর দেখতে চাস?
(আরও পড়ুন: শনিবার সকালে মন খুলে হাসুন! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর খুশি থাকুন উইকেন্ডে)
৪। ইউরোপের এক দেশের সেনাবাহিনীতে এক নতুন সৈনিক যোগ দিয়েছে। ব্যারাকে লাঞ্চ খেতে গিয়ে সে দেখল, খাবারে মাটি আর বালি কিচমিচ করছে। সে ব্যাপারটা ক্যাপ্টেনকে জানাল। ক্যাপ্টেন ছিলেন কড়া ধাঁচের লোক, সৈন্যদের আরাম-আয়েশের ঘোর বিরোধী।
হুঙ্কার ছেড়ে ক্যাপ্টেন বললেন, ‘যুবক, তুমি কি তোমার দেশের সেবা করার জন্য সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়েছ, না আরাম-আয়েশে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য?’
তরুন সৈনিক তৎক্ষণাৎ উত্তর দিল, ‘স্যার, আমি দেশের সেবা করার জন্যই সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়েছি, দেশটাকে চিবিয়ে খাবার জন্য নয়।’
(আরও পড়ুন: রবিবার সকালে প্রাণভরে হাসুন, পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর ছুটির দিন কাটুক মজায়)
৫। প্রতিদিন সকালে গল্টু হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যায়। স্কুলের পাশেই ছিল থানা। থানার সামনেই ১০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির ছবি টাঙানো। ছবিগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে সে চিৎকার করে উঠল।
এই দেখে তার পাশের বন্ধুটি বলল, ‘কী রে এত চিৎকার করছিস কেন?’
গল্টু বলল, ‘আরে দেখেছিস কেমন ভাগ্য! আমার বাবাকে দেশের এখন কত্ত প্রয়োজন! তোর বাবা কি এত বড় হতে পেরেছে নাকি! তো, চিৎকার করব নাকি কাঁদব!’