১। রমেশবাবু বিশেষ পড়াশোনা করেননি। কিন্তু ব্যবসা করে ভালো টাকা করেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকেও খুবই ভালোবাসেন। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী একবার অসুস্থ হলেন। অপারেশনের দরকার হল।
চিকিৎসক: আপনার স্ত্রীর অপারেশনে আমরা লোকাল অ্যানাসথেসিয়া ব্যবহার করব। চিন্তার কোনও কারণ নেই।
রমেশবাবু: ডাক্তার, চিন্তার অনেক কারণ আছে। আমার অর্থের অভাব নেই, আমার স্ত্রীকে লোকাল কিছু দেবেন না। যা দেবেন সব যেন ইমপোর্টেড হয়।
(আরও পড়ুন: হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবে! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস)
২। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না। আর যতটুকু বলা প্রয়োজন, তা ইশারায় জানিয়ে দেন। স্বামী দেখলেন, পরের দিন ভোরে তাঁর ফ্লাইট। তাঁকে উঠতে হবে ভোর পাঁচটায়। কিন্তু স্ত্রী যদি জাগিয়ে না দেন, তবে কিছুতেই ভোরবেলায় তাঁর ঘুম ভাঙবে না। কিন্তু তাঁরা কথাও তো বলেন না। কী আর করা!
স্বামী একটা কাগজে লিখে দিলেন, ‘দয়া করে ভোর পাঁচটায় আমাকে জাগিয়ে দেবে।’ কাগজটি টেবিলের ওপর রেখে দিলেন, যাতে স্ত্রী দেখতে পান। কিন্তু পরের দিন যখন তাঁর ঘুম ভাঙল, তখন সকাল ন’টা বেজে গিয়েছে এবং বিমানও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
তিনি রেগে টং হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তাঁকে জাগানো হলো না। এদিকে স্ত্রীও সমান তেড়িয়া, ‘এত রাগছ কেন? আমি তো তোমার ওই কাগজটিতে লিখে রেখেছি যে এখন ভোর পাঁচটা বাজে, ঘুম থেকে ওঠো। কিন্তু তুমি তো টেরই পেলে না। আমার কী দোষ?’
(আরও পড়ুন: ২ মিনিটে সব চাপ থেকে মুক্তি! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর হয়ে যান ফুরফুরে)
৩। তুমুল ঝগড়া চলছে স্বামী-স্ত্রীতে। স্ত্রী এক পর্যায়ে দিলেন একটা গালি।
স্বামী: এই গালিটা তুমি ইয়ার্কি করে দিলে, না সত্যি সত্যি দিলে?
স্ত্রী: সত্যি সত্যিই দিলাম।
স্বামী: ঠিক আছে, ইয়ার্কি আমি আবার একদম পছন্দ করি না।
(আরও পড়ুন: কাজের মাঝেই হাসুন প্রাণভরে! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৪। ক্রেতা: এই পুজোয় আপনাদের বিশেষ কোনও অফার আছে?
বিক্রেতা: অবশ্যই। এই পুজোয় আমাদের মার্কেট থেকে আপনি যে পরিমাণ শপিং করবেন, পরের পুজোয় তার দ্বিগুণ করলেই, তার পরের পুজোয় পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
(আরও পড়ুন: রবিবার সকাল কাটুক চরম মজায়! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৫। ইন্টারভিউ দিতে গেল তরুণ।
প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘আপনাকে আমি ১০টি জলের মতো সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা প্রশ্ন করব লোহার মতো কঠিন। উত্তর দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন, কোন অপশন বেছে নেবেন আপনি।’
তরুণ কিছুক্ষণ ভেবে বলল, ‘কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।’ প্রশ্নকর্তা হেসে বললেন, ‘ভালো, শুভকামনা আপনার জন্য। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার বলুন, কোনটা প্রথমে আসে—দিন না রাত?’
তরুণের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তরেই ঝুলে আছে তার চাকরিটা। এবার ভাবনার সাগরে ডুব দিল সে। উত্তরে বলল, ‘দিন প্রথমে আসে, স্যর!’
‘কীভাবে?’ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন।
‘দুঃখিত, স্যার, আপনি বলেছিলেন, দ্বিতীয় কোনও কঠিন প্রশ্ন করবেন না আমাকে!’
চাকরি পাকা হয়ে গেল তরুণের!