১। চিকিৎসকের কাছে এক রোগী এসে বলছেন, ‘ডাক্তারবাবু, মনে হচ্ছে আমার জটিল রোগ হয়েছে। আমি সব কিছু শুধু ভুলে যাই।’
চিকিৎসক সব শুনে বললেন, তা কবে থেকে এই রোগ দেখা দিয়েছে আপনার?
রোগী অবাক হয়ে বললেন, ‘কোন রোগের কথা যেন বলছিলেন?’
চিকিৎসক আর কথা না বাড়িয়ে প্রেসক্রিপশন লিখে রোগীকে বিদায় করে দিলেন।
কিছুক্ষণ পর ওই রোগী আবারও চিকিৎসকের কাছে ফিরে এসে বললেন, ‘ডাক্তারবাবু, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তো কোনও দোকানেই আমি আপনার লিখে দেওয়া ওষুধ কিনতে পারলাম না।’
এবার চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনটা হাতে নিয়ে দেখে বললেন, ‘ওহ্, ওষুধের নাম লেখার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এখানে তো শুধু আমার স্বাক্ষরটা করে দিয়েছি।’
(আরও পড়ুন: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার! কিন্তু বাতাসে থাকুক হাসির মজা! পড়ুন দিনের সেরা ৬ জোকস)
২। বাবা দাড়ি কামাতে গিয়ে দেখেন, দাড়িতে সাবান মাখানোর ব্রাশ বেজায় শক্ত।
ছেলেকে ডেকে বলেন: খোকা, কাল সকাল পর্যন্ত এটা তো বেশ নরম ছিল।
খোকা: ঠিকই বলেছ বাবা, দুপুর পর্যন্ত জানালা রং করার সময়ও ওটা বেশ নরমই ছিল।
(আরও পড়ুন: কাজ সেরে বাড়ি ফিরছেন? মেজাজ ভালো করুন দুই মিনিটে, রইল দিনের সেরা ৫ জোকস)
৩। একদিন শ্যামবাজার থেকে বাসে উঠে এক মহিলা কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি শিয়ালদা নামব।’
পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা শিয়ালদা?’ বাস যখন রাজাবাজারের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা শিয়ালদা?’
কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘না, এটা আমার পিঠ।’
(আরও পড়ুন: উফ কী গরম! তার মধ্যেও মন থাক চাঙ্গা, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৪। ঘরের সামনে দুই ছেলেকে ফুটবল খেলতে দেখে মা প্রশ্ন করল, ‘এই, তোরা ফুটবল কোথায় পেলি রে? আমি তো কখনও কিনে দিইনি!’
বড় ছেলে জবাব দিল, ‘সামনের রাস্তায় কুড়িয়ে পেলাম, মা।’
মা বলল, ‘ও… কেউ খেলতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে মনে হয়।’
ছোট ছেলের দ্রুত জবাব, ‘হ্যাঁ মা, বল খুঁজতে এসে ওরাও তাই বলাবলি করছিল।’
(আরও পড়ুন: সকাল সকাল ছুটুক হাসির ফোয়ারা! সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পড়ুন সেরা ৫ জোকস)
৫। বইয়ের দোকানে ঢুকে এক ভদ্রলোক কিছু বই চাইলেন।
দোকানের কর্মী: কী রকম বই চান, বলুন। হালকা কিছু?
ক্রেতা: না না, ওজনের জন্য আপনি মোটেই চিন্তা করবেন না। আমার সঙ্গে গাড়ি আছে।