Bangla Jokes collection: রবিবার মানে ছুটির দিন, রবিবার মানে মজায় থাকার দিন, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস

Viral Bangla Jokes: ছুটির দিনের মজা দ্বিগুণ বাড়িয়ে নিতে রবিবার সকালে পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস। হাসুন প্রাণভরে।

১। এক ছাত্রকে টেনে হিঁচড়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। ছাত্রটি তখন পরীক্ষা দিচ্ছিল। 

প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, কেন তাকে ধরে আনা হয়েছে? বলা হল, সে নকল করছিল।

‘কী, এত বড় সাহস! নকল করছিল!’ 

‘হ্যাঁ, স্যার! নকল করছিল। প্রশ্নে এসেছে, মানুষের বুকে হাড়ের সংখ্যা কত? স্যার, সে পরীক্ষার হলে শার্ট খুলে বুকের হাড় গুনছিল।’

২। শ্যামলবাবু আর তাঁর স্ত্রী পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছেন। বাড়ির দোরগোড়ায় ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। ট্যাক্সিতে ওঠার আগের মুহূর্তে শ্যামলবাবুর স্ত্রী বললেন, ‘তুমি এক মিনিট অপেক্ষা করো। বাড়িতে তো বিল্লু একাই থাকবে, আমি ওকে ওর খাবারটা দিয়ে আসি।’

ট্যাক্সি ড্রাইভার শ্যামলবাবুকে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না স্যার, বিল্লু কে?’

শ্যামলবাবু ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। বিল্লু তাঁর বিড়ালের নাম। কিন্তু বিল্লু কে, তা জানতে ড্রাইভার ব্যাটার এত আগ্রহ কেন? এমনিতেই দিনকাল খারাপ, ব্যাটার অন্য কোনও মতলব নেই তো…! বাড়িতে কে একা থাকছে, ভালো করে জেনে নিয়ে পরে আবার… নাহ্, হাবভাব ভালো ঠেকছে না। 

বুদ্ধি করে বললেন শ্যামলবাবু, ‘ওহ্ বিল্লু? ও হচ্ছে আমার ছোট ভাই, পুলিশে চাকরি করে। খুবই বুদ্ধিমান আর সাহসী ছেলে। বেশ ভালো কারাটেও জানে। একাই দু-চারজনকে পিটিয়ে কাবু করতে পারে!’

কিছু ক্ষণ পরই ফিরলেন শ্যামলবাবুর স্ত্রী। শ্যামলবাবু বললেন, ‘কী, খাবার দিয়েছো ঠিক মতো?’

স্ত্রী: ‘আর বোলো না, আমার ডাক শুনেই ভয় পেয়ে খাটের নিচে গিয়ে ঢুকেছে পাজিটা। এত করে ডাকলাম, বেরই হল না!’

৩। সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে এক পকেটমার জেল গেটে এসেছে। এসে সে বলল, ‘আজ সকালেই তোমার কেসটা লড়তে বিখ্যাত আইনজীবী মৃদুলবাবুর সঙ্গে দেখা করলাম। নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিতে হল।’

বন্ধু: টাকাটা কি তিনি পকেটে রাখলেন?

পকেটমার: তাঁর নিজের তো তাই ধারণা।

৪। সঞ্জু তার চেকবই হারিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে গিয়েছে।

ম্যানেজার: আপনি একটু সচেতন থাকবেন না! এখন কেউ যদি আপনার স্বাক্ষর নকল করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়, তখন কী করবেন?

সঞ্জু: অন্যজন কীভাবে আমার স্বাক্ষর নকল করবে? আমি কি বোকা নাকি!

ম্যানেজার: কেন?

সঞ্জু: আরে আমি তো চেকবইয়ের সব পৃষ্ঠাতেই স্বাক্ষর করে রেখেছি। অন্য কারও স্বাক্ষর নকল করার আর কোনও সুযোগই নেই।

৫। বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে।

সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখােচ্ছে। কোনও সমস্যা হয়েছে নাকি!

বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।

সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।