১। এক দুষ্টু ছেলে পাড়ার রড-সিমেন্টের দোকানে এসে বলল, ‘আপনার দোকানে কি কাঁঠাল পাওয়া যায়?’
দোকানি জানালেন, না।
পর দিন ছেলেটা আবার এসে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা, আপনার দোকানে কি কাঁঠাল পাওয়া যায়?’
দোকানি বিরক্ত হয়ে জবাব দিলেন, না!
তার পর দিন ছেলেটা আবার এসে হাজির। বলল, ‘আচ্ছা আপনার দোকানে কি কাঁঠাল পাওয়া যায়?’
এবার দোকানি গেলেন খেপে, ‘আমার সঙ্গে ফাজলামি করছিস, তাই না? খবরদার…আবার যদি এই প্রশ্ন করিস, তাহলে তোর মুখ সেলাই করে দেব!’
ছেলেটা পর দিন ঠিকই আবার হাজির। বলল, ‘আচ্ছা আপনার দোকানে সূঁচ আছে?’
দোকানি বললেন, না।
ছেলে বলল, ‘সুতো?’
দোকানি বললেন, না।
ছেলেটা এবার বলল, ‘আচ্ছা, আপনার দোকানে কি কাঁঠাল পাওয়া যায়?’
(আরও পড়ুন: উইকেন্ড তো এসেই গেল, আর গোমড়া মুখ নয়, এবার হাসতেই হবে! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
২। ডেন্টিষ্টের চেম্বার।
ডাক্তার: ভয়ের কিছু নেই, চট করে আপনার দাঁত তুলে দেব।
রোগী: না, না, ডাক্তার সাহেব, আমার ভীষণ ভয় করছে। যন্ত্রণায় আমি মরেই যাব।
ডাক্তার: ঠিক আছে, এই নিন। খানিকটা ব্রান্ডি খেয়ে নিন।
রোগী ব্রান্ডি খাওয়ার পর।
ডাক্তার: কি, এখন সাহস বেড়েছে তো?
রোগী: নিশ্চয়ই বেড়েছে। এখন দেখি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে। হাত লাগাতে আসুক, বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। এক ঘুসিতে দাঁত ফেলে দেব।
(আরও পড়ুন: শনিবার সকালে মন খুলে হাসুন! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর খুশি থাকুন উইকেন্ডে)
৩। তিন অপরাধীকে পাঁচ বছরের জন্য কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল এক বাক্স সিগারেট।
পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। জেলখানায় গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে।
তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় দশা। বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দেশলাই হবে?’
(আরও পড়ুন: রবিবার সকালে প্রাণভরে হাসুন, পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর ছুটির দিন কাটুক মজায়)
৪। সাহায্যদাতা: দশটা টাকা দিচ্ছি মোড়ের দোকান থেকে কিছু কিনে খাও। কিন্তু তোমার এই দৈন্যদশার কারণ কী ?
সাহায্যপ্রার্থী: আমি ও আপনার মতো ছিলাম কি না, যে চাইত তাকেই টাকা দিয়ে দিতাম।
(আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই মন থাকুক ফুরফুরে! সকালেই পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, হাসুন বিন্দাস)
৫। এক অফিসের বস অত্যন্ত বদরাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকেন এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হন। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তাঁর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
বস: কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
কর্মচারী: স্যার, আমি সময়মতোই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
বস: এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?