১। নয় মার্কিন পণ্ডিত আর এক ফরাসি রাজনীতিবিদ গেলেন আল্পস জয় করতে। কিন্তু পাহাড়ে ওঠার সময় ভীষণ বিপদে পড়ে গেলেন দশ অভিযাত্রী। বেয়ে ওঠার দড়িটা খুব দুর্বল হয়ে গিয়েছে। যে কোনও একজনকে দড়ি থেকে ফেলে না দিলে সবাই একসঙ্গে পড়ে যাবেন এমন অবস্থা।
কিন্তু কেউই হাত থেকে দড়ি ছাড়তে নারাজ। ফরাসি রাজনীতিবিদ দেখলেন পরিস্থিতি বেশি সুবিধার না। তাঁরা নয়জন মিলে তাঁকে হাত থেকে দড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করবেন। এমন অবস্থায় তিনি ভাবলেন, বক্তৃতা দিয়ে সকলের মন জয় করবেন আর নিজের প্রাণ বাঁচাবেন।
তখন তিনি সবার উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করলেন, কেন তাঁদের মতো মহান পণ্ডিতদের জীবন তাঁর মতন তুচ্ছ মানুষের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং তিনি এই নয় মার্কিন পণ্ডিতের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পেরে কেমন ধন্য বোধ করছেন।
পণ্ডিতেরা বক্তৃতায় আবেগাপ্লুত হয়ে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন।
(আরও পড়ুন: হাসতে হাসতে ভুলে যান সব চাপ! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
২। এক লোক তার বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছে।
গতকাল বাড়ির পিছনের জঙ্গলে ঢুকতেই দেখি, বিশাল এক বাঘ। আমি সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরে দিলাম এক দৌড়। বাঘও আমার পিছন পিছন দৌড়াতে শুরু করল। কিন্তু বাঘ আমাকে ছুঁই ছুঁই করেও ছুঁতে পারছিল না। বারবার পিছলে পড়ে যাচ্ছিল। আর সেই সুযোগে আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এমনি করে শেষমেশ দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরেই ঢুকে গেলাম।
শুনে বন্ধু মন্তব্য করল, ‘তোমার তো দারুণ সাহস! আমি হলে তো ভয়ে হিসু করে দিতাম।’
প্রথম বন্ধু তখন বলল, ‘আরে, বাঘ তো বারবার পিছলে পড়ছিল সে কারণেই।’
(আরও পড়ুন: আজ দুপুরে হোক হাসির বন্যা! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস)
৩। রমেনবাবু সহজ সরল মানুষ। তিনি একদিন দেখলেন, রাস্তায় অনেকে পর পর দৌড়োচ্ছে।
রমেনবাবু: এই লোকগুলো সব দৌড়োচ্ছে কেন?
জনৈক: এটা একটা দৌড় প্রতিযোগিতা। যে জয়ী হবে সে কাপ জিতবে।
রমেনবাবু: যদি শুধু বিজয়ীই কাপ পাবে, তাহলে বাকিরা কেন দৌড়োচ্ছে?
(আরও পড়ুন: রোববার ছুটির দিন সকালে কী করছেন? পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, আর সকালটা হোক উজ্জ্বল)
৪। দুই বন্ধু গিয়েছে শিকারে। এমন সময় তারা বাঘের পায়ের ছাপ আবিষ্কার করল। ফিসফিস করে এক বন্ধু বলল অপরজনকে, ‘তুই পায়ের ছাপ ধরে সামনে গিয়ে দেখ, বাঘটা কোথায় গেল। আর আমি পিছনে গিয়ে দেখে আসি, বাঘটা কোথা থেকে এল!’
(আরও পড়ুন: সোমবার সকালটা হোক চরম আনন্দের! পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, পাঠান বন্ধুদেরও)
৫। রাশিয়ার এক কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে পল্টু। কোম্পানির প্রতিনিধি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন: আপনি রুশ ভাষা বোঝেন তো?
পল্টু: বাংলা করে দিলে বুঝি, স্যর।