ভাইরাল আনলিমিটেড ফুচকা অফার, ভাইরাল রাজুদার পকেট পরোটা, এই ‘ভাইরাল’ শব্দটিতে এখন ছেয়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যম। কিন্তু এবার এই ভাইরালের করাল গ্রাস নেমে এলো বাংলাদেশের এই তরমুজ বিক্রেতার উপর।
বর্তমানে ইউটিউবার ও ব্লগারদের ব্লগচর্চার দৌলতে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানুষের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছেন তাঁদের দোকানের সামনে। শুরুর দিকে এটি ভালো ঠেকলেও শেষমেষ ব্যবসা উঠিয়ে দেওয়ার মতো দুর্দশাই ডেকে এনেছে, এমনটাই দাবি অনেক ব্যবসায়ীর।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে এক বিশেষ কৌশলে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায় বিক্রেতা মোহাম্মদ রনিকে। ‘ওই কীরে কী, মধু, মধু…. রসমালাই’ — এই মজাদার স্লোগান ব্যবহার করে গ্রাহকদের নজর কাড়তে দেখা যায় তাঁকে।
কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাল হওয়ার কারণেই দুর্ভাগ্য নেমে আসে রনির জীবনে। অসংখ্য ইউটিউবার ও ব্লগারদের ভিড়ে অতিষ্ঠ হতে শুরু করেন গ্রাহকরা, বিক্রিতেও ভাটা পড়তে থাকে। ভিড়ের ঠেলায় তাঁর পাশাপাশি অন্যান্য বিক্রেতাদেরও লোকসান হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন - Viral News: আইসক্রিমের ভিতর আস্ত সাপ! খেতে গিয়ে চমকে উঠলেন ব্যক্তি, হতবাক নেটপাড়াও
সোমবার দোকানে তাঁর ভাই রকির থেকে জানা যায়, ক্যামেরার থেকে বাঁচতে রনি দোকানে আসছেন না। লুকিয়ে থাকছেন, পরিচিতি থেকে বাঁচতে মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
রনি জানান, ভাইরাল হওয়ার পর বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মোবাইল ও পুরস্কার দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ঠকানো হয়েছে, এমনটাই দাবি রনির।
তিনি এও জানান, অর্থ নয় মানুষের ভালোবাসা চেয়েছিলেন, কারো ক্ষতি করতে চাননি কখনও। রনির দোকানের পাশেই জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির লেবুর দোকান। রনির ভাইরাল হওয়ার কারণে তাঁর ব্যবসারও ক্ষতি হয়েছে। আগে রোজ প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার লেবু তাঁর বিক্রি হত, এখন ৫০০ লেবু বিক্রি করাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন - Airport Theory: ইচ্ছাকৃত ফ্লাইট মিস! নেটপাড়ায় নয়া ট্রেন্ড এয়ারপোর্ট থিওরি! কী লাভ হয় এতে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে নানা ধরনের শোরগোল দেখা গিয়েছে। অনেক বিক্রেতাই ইউটিউবার ও ব্লগারদের মাত্রা অতিরিক্ত আনাগোনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি শিয়ালদর রাজুদাও এই নিয়ে দোলাচলের মুখোমুখি হয়েছেন।