প্রায় সারাদিনের দুর্বল খাদ্যাভ্যাস এবং বসার লাইফস্টাইল মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। এর মধ্যে একটি রোগ হল সুগার অর্থাৎ ডায়াবেটিস। একবার চিনি থাকলে, ওষুধ ছাড়াও, লোকেরা এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও চেষ্টা করে। আসলে, আমাদের রান্নাঘরে এমন কিছু মশলা আছে, যেগুলো বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই মশলাগুলির মধ্যে অনেকগুলি তেজপাতার মতো কিছু পরিমাণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব সহায়ক। তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তেজপাতা আপনার রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে পারে।
জেনে নিন ডায়াবিটিসে তেজপাতা কতটা উপকারী
তেজপাতা, যা খাবারের সুগন্ধ বাড়ায়, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেজপাতার সাহায্যে চিনিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা যায় না বা উল্টানো যায় না, তবে চিনি নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি খুব ভাল সমাধান। যাইহোক, এর পাশাপাশি, একটি ভাল নিয়ন্ত্রিত খাদ্য এবং দৈনন্দিন শারীরিক কার্যকলাপ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বায়োকেমিক্যাল নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীরা যারা তাদের খাদ্যতালিকায় তেজপাতা অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাদের শুধু সুগার লেভেল নয়, তাদের কোলেস্টেরলও অনেকাংশে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
জেনে নিন এটি কতটা উপকারী হবে
রান্নাঘরে খাবারের স্বাদ বাড়াতে প্রায়ই তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। যাইহোক, এটি ছাড়াও, আপনি এটিকে আরও অনেক উপায়ে আপনার ডায়েটের অংশ করতে পারেন। তেজপাতা একটি স্থায়ী মশলা, তাই আপনি এটি আপনার প্রতিদিনের চায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে শুধু চায়ের স্বাদই বাড়বে না আপনার চাকে করে তুলবে একটু স্বাস্থ্যকরও। এ ছাড়া সুগারের রোগীদের খাদ্যতালিকায় তেজপাতার পানি অন্তর্ভুক্ত করাই ভালো। এজন্য এক গ্লাস পানিতে একটি তেজপাতা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি সামান্য গরম করে পান করুন। তেজপাতার এই ধরনের ব্যবহার আপনার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব সহায়ক হতে পারে।