এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে, তাপমাত্রা কখনও শুষ্ক-গরম আবার কখনও ঠান্ডা থাকে। এতে কেবল ভাইরাল-ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঘটনাই বৃদ্ধি পেয়েছে না, কাশিও দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কাশির কারণ হতে পারে ধুলো এবং ধোঁয়ার পাশাপাশি প্রচণ্ড গরম, অতিরিক্ত ঠান্ডা জিনিস খাওয়া এবং অ্যালার্জি।
গ্রীষ্মে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে গলা শুষ্ক হয়ে যায় এবং কাশির সৃষ্টি হয়। ধুলো এবং ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে, যা কাশি সৃষ্টি করতে পারে। আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা ঠান্ডা জল গরমে উপশম দেয়, তবে গলা ব্যথা এবং দীর্ঘস্থায়ী কাশিও হতে পারে। ফুলের পরাগ, ধুলোবালি, অথবা পোষা প্রাণীর খুশকি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী শুষ্ক কাশি হতে পারে।
গ্রীষ্মে অতিরিক্ত মশলাদার এবং ভাজা খাবার খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস হয়। এর ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড গলায় পৌঁছাতে পারে এবং কাশি হতে পারে। গ্রীষ্মেও, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে গলার সংক্রমণ হতে পারে, যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী কাশির সৃষ্টি হয়। যদি কাশি ২১ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
কাশির জন্য নিজে থেকে কোনও ওষুধ খাবেন না, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক। যদি কাশি ২১ দিনের বেশি সময় ধরে থাকে, তাহলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। গলায় ব্যথা হলে, পাঁচ থেকে দশ দিন ধরে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ খাবেন না। যেমন, লবণ-হালকা জল দিয়ে কুলি করা, ভাপ নিতে ওয়ারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াজনিত কাশি সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু এই বছর আবার শুষ্ক কাশি অনেক দিন ধরেই বিরক্ত করছে।
মনে রাখবেন, প্যারাসিটামল দিয়ে শুধুমাত্র ভাইরাল জ্বর তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। এর আগে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। গ্রীষ্মকালীন কাশি প্রায়শই শুষ্ক থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। গ্রীষ্মের কাশি হালকাভাবে নেবেন না। কারণ যদি এটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তবে এটি শরীরের কোনও অভ্যন্তরীণ সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জল খাওয়া এবং সময়মত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।