বন্যপ্রাণীদের দেখভালের জন্য বিভিন্ন অভয়ারণ্যে প্রায়ই বন দফতরের তরফে ক্যামেরা বসানো হয়। বন্যপ্রাণীদের দেখভাল ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণে এই ক্যামেরা বসানো জরুরি। চোরাশিকারীদের খুঁজে বার করতেও সাহায্য করে এই ক্যামেরা। কোনও প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো যায়। এছাড়াও, কোনও জন্তু বন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে কিনা সে বিষয়েও নজর রাখা সুবিধা হয়। এমন ক্যামেরা সাধারণত গাছের ফাঁকফোঁকরে লোকানো থাকে। যেখান থেকে সহজে কেউ দেখতে পাবে না। আবার পশুপাখির ছবি তোলাও যাবে। স্পষ্ট ছবি তোলা যায় এমনভাবেই বন দফতরের থেকে বসানো হয় ক্যামেরা। তবে সেই ক্যামেরা যে বন্যজন্তুদের কাছে মজাদার হয়ে উঠবে তা কে জানত!
সম্প্রতি কোলোরাডোর এক অভয়ারণ্যে এমন ঘটনাই ঘটেছে। সেখানের বোল্ডার ওপেন স্পেস অ্যান্ড মাউন্টন পার্কসে এমনই মজার ঘটনা ঘটে। সেখানে পাহাড়ি এলাকার বন্যপ্রাণীদের উপর নজর রাখতে এমন বেশ কয়েকটি ক্যামেরা ফিট করা আছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই ক্যামেরার সামনেই ইদানীং একটি ভালুককে সেল্ফি তুলতে দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে মজাদার একটি পোস্টও করা হয় টুইটারে। বোলন্ডার ওএসএমপি-এর তরফে বলা হয়, পাহাড়ি এলাকার প্রাণীদের নজরে রাখতে একটি মনিটর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। সেই ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে এক ভালুক। দেদার সেল্ফি তুলতে দেখা যায় তাকে। একবার ডান দিকে একবার বাম দিকে, নানা ভঙ্গিতে মুখ বেঁকিয়ে সে সেল্ফি তোলে। কখনও আবার হালকা মুখ ঝুঁকিয়ে, কখনও চোখের ইঙ্গিত করেও সেল্ফি তোলে সে। বোল্ডার ওএসএমপি-এর তরফে বলা হয়, এই ক্যামেরাতে মোট ৫৮০টি ছবি উঠেছে যার মধ্যে শুধু ৪০০টিই ভালুকের সেল্ফি।
টুইটটি করার পর থেকেই বিপুল পরিমাণে রিটুইট হতে থাকে। পাশাপাশি দ্রুত রিয়্যাক্টে ভরে ওঠে সেই পোস্ট। কিছুক্ষণে ভাইরালও হয়ে যায়। এক নেটিজেন বলেন, তার পোষ্য কুকুরটিও ঠিক একই কাজ করে। আরেকজন জানান, ভালুক অত রাতে ঘুম থেকে উঠে সেল্ফি তুলছে! ভাবাই যায় না! আরেকজন এই ভালুকগুলিকে এখনই হলিউডের কোনও সিনেমার প্রধান ভূমিকায় নেওয়া হোক! একজন অভিনেতার থেকে বেশি সাবলীল পোজ দিচ্ছে এই প্রাণী!
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup