শরীরের জন্য গুড় বিশেষ উপকারী। তবে শুধু শরীরই নয় বরং ত্বকের জন্যও উপকারী গুড়। চিনির স্থানে গুড় ব্যবহার করলে সর্দি-কাশি দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যের পক্ষে গুড় অত্যন্ত উপকারী। এর পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে নানা সমস্যা দূর করে এই মিষ্টি খাদ্যবস্তুটি। গুড় দাগ-ছোপ মেটাতে পারে। আবার চুলের জন্যও উপকারী এটি।
অ্যাকনে ও পিম্পলে উপকারী
নিয়মিত গুড় খেলে মুখের কালো ছোপ ও পিম্পলস ইত্যাদি দূর হয়। মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গুড়কে রামবাণ মনে করা হয়। গুড়ের ফেস প্যাক ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার পাশাপাশি অ্যাকনে, বলিরেখা এবং বার্ধক্যের চিহ্ন দূর করে। এমনকী নানা ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এর জন্য ১ চামচ গুড়, ১ চামচ টমেটোর রস, অর্ধেক লেবুর রস, সামান্য হলুদ ও সামান্য গ্রিন টি মেশান। এটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।
মুখের বলিরেখা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখে বলিরেখা দেখা দেওয়া শুরু করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সম গুড় খেলে বলিরেখা দূর করা যেতে পারে। পাশাপাশি এর ফলে বয়সও কম দেখায়। মুক্ত র্যাডিক্যালগুলির সঙ্গে গুড় মোকাবিলা করতে পারে।
চুলের পক্ষে উপকারী
চুল ঘন ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে গুড়। গুড়ের সঙ্গে মুলতানি মাটি, দই ও জল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন। চুল ধোয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি লাগানো উচিত। তার পর ধুয়ে নিন। এর ফলে চুল ঘন ও উজ্জ্বল হবে।
রক্ত পরিষ্কার হয়
রক্ত পরিষ্কার না-হলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। গুড় রক্ত পরিষ্কার করে এবং অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা করে। রক্ত পরিষ্কার হলে শরীরে পিম্পলস আসে না। তাই প্রতিদিন গুড় খাওয়া উচিত। তবে স্থূলতা ও মধুমেহর শিকার ব্যক্তিরা গুড় খাওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন।
ত্বকের জন্য জরুরি
গুড়ে নানা খনিজ ও ভিটামিন থাকে। যার ফলে এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। গুড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূয় হয়। পেট পরিষ্কার হলে ত্বকও উজ্জ্বল হবে। ঈষদুষ্ণ জল বা চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় মিশিয়ে পান করতে পারেন।