ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার জন্য আমরা কত কীই না ব্যবহার করে থাকি। কখনও বাজারের কোনও প্রোডাক্ট কখনও আবার ঘরোয়া টোটকা। কিন্তু অনেক সময়ই ফল মেলে না। বিশেষ করে বর্ষায় একাধিক সমস্যা দেখা দেয় ত্বক এবং চুলের। এই সময় ভীষণ চুল পড়ে। এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন টি ট্রি অয়েল। রূপচর্চা থেকে দৈনন্দিন কাজকর্ম সব কিছুতেই এই তেল ব্যবহার করা যায়। আপনার রোজকার বিউটি কেয়ারে ব্যবহার করুন টি ট্রি অয়েল। দেখে নিন বিস্তারিত।
টি ট্রি অয়েল কীভাবে কোন কাজে ব্যবহার করবেন জানেন?
ত্বকের পরিচর্যা: ত্বকের কালচে দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করে টি ট্রি অয়েলে। একই সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যাও দূর করে এই তেল। আপনিও যদি ব্রণর সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলেও এই তেল ব্যবহার করলে পাবেন সুফল। কিন্তু এই বিষয়ে মনে রাখবেন টি ট্রি অয়েল কিন্তু কখনই সরাসরি মুখে বা ত্বকে লাগানো যায় না। এই তেল লাগাতে হলে সেটাকে আগে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মেশাতে হবে।
চুলের যত্ন: চুলের নানান সমস্যা যেমন রুক্ষ চুল কিংবা চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, অথবা স্ক্যাল্পে কোনও র্যাশ হলে তাতেও ব্যবহার করা যায় এই তেল। ত্বকের মতো চুলেও টি ট্রি অয়েল লাগানোর আগে সেটাকে কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নেবেন। সরাসরি ব্যবহার করলে ফল উল্টো হতে পারে।
ক্ষত: কোথাও আঘাত পেলে, বা ক্ষত হলে সেখানেও টি ট্রি অয়েল দিতে পারেন। এতে ক্ষত দ্রুত সারে। অ্যালার্জি হলেও টি ট্রি অয়েল লাগাবেন। উপকার পাবেন। গায়ে যে লাল র্যাশ বেরোয় তাতে টি ট্রি অয়েল লাগালে উপকার পাওয়া যায়। জ্বালা ভাব কমে।
কিন্তু এই তেল ব্যবহার করার সময় খুব সতর্ক থাকবেন। টি ট্রি অয়েল যেন কোনও ভাবেই চোখে না যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেবেন। এবং ভুলেও এটা ত্বক বা চুলে লাগাবেন না। অন্য কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই তেল ব্যবহার করবেন। সব থেকে ভালো হয় যদি অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করেন।