গলা ব্যথা, গলা খুশ খুশ করলে আমরা লবঙ্গ মুখে রাখি। কেউ কেউ লবঙ্গ জলের সঙ্গে ফুটিয়ে খান। অনেকেই মাথা ব্যথা হলে লবঙ্গের তেল মাথায় মাখেন। আবার কেউ কেউ গরমে ত্বকের পরিচর্যার জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করেন। এটি শরীরে ভিটামিন ই, সি, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের যোগান দেয়। তবে এই গরমে লবঙ্গ জল পান করা কতটা উপযোগী? সঙ্গে লবঙ্গ খাওয়া উচিত কিনা? তা জানা অবশ্যই জরুরি।
আসুন প্রথমে লবঙ্গের উপকারিতাগুলি দেখে নেওয়া যাক
মাথা ব্যথা কমায়
গরমে প্রায়শই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। ব্যথা কমাতে ওষুধ ও বামের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু, আপনি হয়ত জানেন না, লবঙ্গ তেল চটজলদি ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও তেলের সঙ্গে লবঙ্গ তেল মিশিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করতে হবে।
হজমের ক্ষমতা বাড়ায়
এই হাঁসফাঁস গরমে যাই খান না কেন, বুক জ্বালা, অ্যাসিডিটি লেগেই থাকে। ঠিকঠাক ঘুম না হওয়ার কারণে হজমেও নানান সমস্যা দেখা যায়। খালি পেটে এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখুন আরাম পাবেন। হজমের সমস্যাও মিটবে।
ত্বক পরিষ্কার করে
এই গরমে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে কে না চায়। প্রখর রোদে ত্বকে কালো কালো ছোপ পড়ে। এক্ষেত্রে লবঙ্গ ত্বকের চিকিৎসায় অনেক কাজে আসে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায়।
মশার হাত থেকে বাঁচায়
লোডশেডিং গরমে কমন বিষয়। সঙ্গে মশার কামড়। সহজ সরল উপায়ে মশা কামড় থেকে রেহাই পেতে চান? শরীরের উন্মুক্ত অংশে লবঙ্গ তেল লাগিয়ে নিন। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল যৌগ মশাকে আপনার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেবে না।
এইসব গুণাবলী থাকা সত্বেও লবঙ্গ খাওয়ার বেশ কিছু অসুবিধেও রয়েছে
রক্ত জল হয়ে যেতে পারে অত্যাধিক লবঙ্গ জল পান করলে।
ডায়াবিটিস রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। বেশি বাড়াও যেমন ভয়ের তেমনই শর্করার মাত্রা কমে যাওয়াও বিপদজ্জনক। লবঙ্গ রক্তে শর্করারা মাত্রা অনেক কমিয়ে দেয়। ডায়াবিটিস রোগীদের লবঙ্গ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত।
গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা কীভাবে রাখা যায়, সেই চেষ্টা সবাই করেন। লবঙ্গ শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বেশি লবঙ্গ খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। বিশেষ করে গরমে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।