খাবার স্বাদ বাড়িয়ে তোলার জন্য পেঁয়াজকে রান্নায় দেওয়া হয়। এছাড়াও পেঁয়াজ ছাড়া স্যালাড ভাবা যায় না! অন্যদিকে, গরমের দিনে বাড়িতে রায়তা হলেই তাতে পেঁয়াজ কিম্বা শসা পড়তে বাধ্য। এমনকি তাপপ্রবাহের ক্ষতিকারক দিককে সরিয়ে দিতে ছাঁচি পেঁয়াজ ভাতের পাতে নিয়ে বসতে অভ্যস্ত বাঙালি। তবে জানেন কি পেয়াঁজকে আরও অন্য একটি উপায়ে খেলে মিলতে পারে আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। দেখে নেওয়া যাক গরমের দিনে পেঁয়াজের জুসের উপকারিতা।
পেঁয়াজের জুস কীভাবে তৈরি করবেন?
ছাঁচি পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিন। এরপর তা পিষে নিন, যাতে তা থেকে রস বের হয়। এতে দিন বিট নুন, লেবু, গুড়। এরপর এতে ভ্যানিলা দিয়ে দিতে পারেন। আর তারপর সমস্ত রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর গ্লাসে বরফ দিয়ে এই জুস পরিবেশন করুন। এটি ঠাণ্ডা হতে থাকলে এতে দিতে পারেন পুদিনা পাতা। গরমে আমের লোভ সামলাতে পারছেন না! এই ফল বেশি খেলেই শরীরে এই সমস্যাগুলি হতে পারে
পেঁয়াজের জুসের উপকারিতা:-
- পেঁয়াজের জুস শুধুমাত্র তাপপ্রবাহকেই আটকে দেয় না। পেঁয়াজ স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
-কিডনিতে স্টোন থাকলে তা পেঁয়াজের জুস খেলে কেটে যেতে পারে। পেঁয়াজের রসে চিনি দিয়ে খেলে তা কিজনির স্টোন সারাতে উপকারি।
-চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে পেঁয়াজের রসের জুড়ি মেলা ভার। ফলে পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিলেই পাবেন কাঙ্খিত ভাল চুল।
-এছাড়াও তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে হলে পেঁয়াজের জুড়ি মেলা ভার। ছাঁচি পেঁয়াজ বা ছোট পেঁয়াজ এক্ষেত্রে খুবই ভাল কাজ দেয়। পেঁয়াজ খেলে লু লাগে না। তবে তাপপ্রবাহের প্রভাব যদি শরীরে পড়ে থাকে,তাহলে দুই চামচ পেঁয়াজের রস খেয়ে নিন। এতেই মিলবে সুফল।
-ত্বকের বলি রেখার সমস্যা থাকলে, তা পেঁয়াজ রক্ষা করে। ফলে পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সহজে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে না।