চুল পড়া থেকে খুশকি-- সব সমস্যার মুশকিল আসান করবে সরষের তেল। এত কম খরচে এরচেয়ে ভালো চুলের তেল আপনি আর পাবেন না।
1/5বাঙালি বাড়ির রান্নাঘরে সরষের তেল থাকবেই। তা সে মটন কষা বানানোর জন্য হোক বা আমের আচার। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সরষের তেল ভীষণ উপকারি চুলের জন্য। আগেকার দিনে লোক চুলে সরষের তেল দিতেন। এমনকী বাবা রামদেবও চুলের যত্নে সরষের তেল ব্যবহারের কথা বলেছেন।
2/5সরষের তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড, এবং ওমেগা ৬ ফ্যাডি অ্যাসিড। ভিটামিন ই আর অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ সরষের তেল। ডাক্তার পিঙ্কি কাপুর ফেমিনাকে জানিয়েছেন, ‘সানস্ক্রিন হিসেবে, ফাঁটা ঠোঁটের জন্য, ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে, ট্যান আর ডার্ক স্পট তুলতে সরষের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।’
3/5মাথায় নিয়মিল সরষের তেল ম্যাসাজ করলে তা আপনার চুলকে নরম আর সিল্কি রাখবে। যেহেতু এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ অন্যান্য মিনারেলস রয়েছে, সেহুতু এটা চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়ক। সরষের তেলে রয়েছে এরুসিক অ্যাসিড, সঙ্গে এএলএ (ALA) কনটেন্টও। যা মাথার ত্বকে ফাঙ্গাস অ্যাটাক হওয়া থেকে বাঁচায়। আর এই গুণের কারণে খুশকির সমস্যাও কমতে কমতে গায়েব হয়ে যায় সরষের তেলের ব্যবহারে। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে ও খুশকির হাত থেকে রক্ষা করে।
4/5সরষের তেল মাথায় লাগানোর আগে তা হালকা গরম করে নিন। এবার তা আঙুলের ডগায় নিয়ে হালকা করে লাগান চুল সরিয়ে সরিয়ে গোটা মাথায়। খুব বেশি তেল ব্যবহার করার দরকার নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটা চুলের গোড়ায় যেন তা পৌঁছয়। এবার হাতে থাকা তেলই পুরো চুলে ম্যাসাজ করে নিন। ১-২ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে একবার করলেই চলবে।
5/5তবে হেয়ার ফল খুব বেড়ে যাওয়া বা চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়া বা চুলের বৃদ্ধি কম থাকা মানে আপনার শরীরে হয়তো কোনও সমস্যা হয়েছে বা যতটা পুষ্টির দরকার তা চুল পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।